বড়লেখায় ইউপি সদস্য হত্যা— যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারীকে মূল হোতা সন্দেহ করছে পুলিশ, গ্রেফতার ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
বড়লেখা প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উত্তর শাহবাজপুর ইউপি’র ৩ ওয়ার্ডের সদস্য ও স্থানীয় আ.লীগে নেতা মজির মজির উদ্দিন (৫০) হত্যাকাণ্ডে মনিরা বেগম নামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক নারীকে মূল হোতা সন্দেহ করছে পুলিশ।
নিহত মজির উদ্দিনের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি শুক্রবার ১১টার দিকে মনিরা বেগমের পুত্র ফয়ছল আহমদ ও তার স্ত্রী ঝগড়ার মীমাংসার কথা বলে মজির উদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে যান লন্ডন প্রবাসী মনিরা বেগম। ঘটনাটি মীমাংসার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে নান্দুয়ার পার্শ্ববর্তী শ্রীধরপুর মসজিদের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাত পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় এক অটোরিকশার চালক সড়কের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে কাতরাতে দেখেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে সড়কে পড়ে থাকা ব্যক্তিটিকে মজির উদ্দিন বলে শনাক্ত করেন। পরে মজিরের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে বৃটিশ পাসপোর্টধারী ওই নারী পালিয়ে থাকলেও তার ২ ছেলেসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আরও একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- ওই নারীর দুই ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৫) ও আতিকুর রহমান জুবেল (২০) এবং শ্রীধরপুর গ্রামের আসাব আলীর পুত্র কুটি মিয়া (৪০)।
পলাতক মনিরা বেগমের বাড়ি থেকে মজির উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে পারে এমন কিছু আলামত উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যা ঘটনার তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা মজির উদ্দিন এলাকার মধ্যে একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। এ জন্য হয়তো বা রাজনৈতিক কোন প্রতিপক্ষ তাকে কৌশলে ওই মহিলার মধ্যেমে ডেকে নিয়ে খুন করেছেন।
এ ঘটনার পরদিন গত ৩১ জানুয়ারি মজির উদ্দিনের ছেলে বাদি হয়ে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার জানান, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে মজির উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। মনিরা বেগমকে গ্রেফতার করলেই হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটিত হবে। আশা করা যাচ্ছে শ্রীঘ্রই খুনের রহস্য বের হয়ে আসবে। মনিরা বেগমকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।