বাহুবলে প্রবেশপত্র জটিলতায় ৯ দাখিল পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
হবিগঞ্জের বাহুবলে এক মাদরাসার ৯ শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বোর্ড নির্ধারিত যাবতীয় ফি পরিশোধের পরেও তাদের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু হয়নি। অথচ ঐ ৯ শিক্ষার্থীর স্থলে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য ৯ জনের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু হয়েছে।
এ জটিলতা নিরসনের দাবিতে ওই মাদরাসার শতাধিক শিক্ষার্থী গতকাল ২ ফেব্রয়ারি সোমবার অপরাহ্নে উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ করেছে। একই দাবিতে আগের দিন রোববার ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ২ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার হিলালপুর হযরত শাহজালাল (র.) সুন্নীয়া দাখিল মাদরাসা থেকে এবার ৪৯ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় ফি বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু গতকাল সোমবার পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীরা প্রবেশ পত্র হাতে পায়নি। প্রবেশপত্র পাওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদরাসায় বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে তারা নিকটবর্তী ঢাকা-সিলেট মহসড়কের ডুবাঐ বাজারে অবরোধ সৃষ্টি করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুই ঘণ্টা পর স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোববার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হাই ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হক মাদরাসার সুপার হারুনুর রশিদ গোলাপের কাছ থেকে ওই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র উদ্ধার করেন। সোমবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবেশপত্র বিতরণ করতে ওই মাদরাসায় গিয়ে দেখতে পান ৪০ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্র সঠিক হলেও ৯ জন নির্ধারিত শিক্ষার্থীকে বাদ দিয়ে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য ৯ জনের নামে প্রবেশপত্র ইস্যু হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রবেশপত্র বিতরণ বন্ধ রেখে জটিলতা নিরসনের দাবি জানান। দুপুরের দিকে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র গ্রহণ না করে আবার বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী প্রায় ৭ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে উপজেলা পরিষদে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিকেল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হক-এর পরামর্শে সুপার ও সহকারী সুপারকে জটিলতা নিরসনের জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বিকেল ৫টার পর শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদ ছেড়ে চলে যায়। আগামীকাল বুধবার থেকে এবারের দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে মাদরাসা সুপার হারুনুর রশিদ ও সহকারী সুপার সাইফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ জটিলতার জন্য তারা পরস্পরকে দোষারোপ করেন।
উল্লেখ্য গত বছরও ওই মাদরাসার ৩ শিক্ষার্থী নানা জটিলতার কারণে শেষ পর্যন্ত দখিল পরীক্ষা দিতে পারেনি।