রাজনগরে সমাজসেবা কর্মকর্তার দুর্নীতিতে প্রতিবন্ধীদের ৩২টি চেক বাতিল
প্রকাশিত হয়েছে : ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
রাজনগরে সমাজ সেবা কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির কারণে প্রতিবন্ধীদের অনুদানের ৪২টির মধ্যে ৩২টি চেক বাতিল হল। এছাড়াও ১০ টি চেকের টাকা ব্যংক একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় মৌলভীবাজার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ সেন গুপ্ত তদন্ত করেন। এতে বিষয়টির প্রমানিত হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কার্যালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে রাজনগর উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের জন্য এককালীন বরাদ্দ ১ লাখ ২৬ বণ্টনের জন্য উপজেলার ৪২ জন প্রবিন্ধীদের তালিকা প্রস্তুত করে জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দের চেক ইস্যু করা করা হয় গত বছরের ২৩ জুলাই। চেক গুলো হস্তান্তর না করে আত্মসাতের পাঁয়তারা করা হয় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে। এরই অংশ হিসেবে গত ২৭ জুলাই সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ১০ জন প্রবিন্ধীর (৭৯৬৬৭০১-৭৯৬৬৭১০নং) চেকের ৩০ হাজার টাকা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। লুটাই বৈদ্য, বিন্দু রাণী শীল, আহমদ মিয়া, আব্দুস সামাদ, শাকিল আহম্মদ, তাহমিনা আক্তার, মো. বিলাল মিয়া, মো. মিপ্তাউল জান্নাত নাইম, জয়দেব মৃদুল ও গঙ্গামা নাইডু নামে ১০জন প্রতিবন্ধীর জন্য এ ১০টি চেক ইস্যু করা হয়েছিল।
এদিকে চেক ইস্যুর ৬ মাস পেরিয়ে যাওয়ায় এগুলো হস্তান্তর না করায় ৩২টি চেক বাতিল হয়। গত ১৫ জানুয়ারি সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ১৭ জানুয়ারি বিষয়টি তদন্ত করেন। এতে সত্যতা পাওয়া গেলেও চেক বিতরণ ও প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে পরবর্তী কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গত ২৬ জানুয়ারি উপজেলা উন্নয়ন সভায় সমাজসেবা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানদের তোপের মুখে পড়েন। আত্মরক্ষার্থে অসংলগ্ন বক্তব্য রাখলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চেয়ারম্যানদের নিয়েই সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপজেলার মহাসহস্র গ্রামের লুটাই বৈদ্য নামে এক প্রতিবন্ধীর টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এব্যাপারে লুটাই বৈধ্য বলেন, আমি শুনেছি আমার নামে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি কোন টাকা পাইনি। আরেক প্রতিবন্ধী বিলাল আহমদ বলেন, আমরার টাকা যে খাইছে আল্লাহ যেন তাদের বিচার করেন।
মৌলভীবাজার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ সেন গুপ্ত বলেন, এগুলো গরীবের টাকা। তাদেরই বিতরণ করা হবে। যে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকেই নিতে হবে।