নাশকতা রোধে মহাসড়কে মোতায়েন হচ্ছে ১২ হাজার আনসার
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ
সারা দেশে সব মহাসড়কে ৯৯৩টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসকল পয়েন্টে তিন শিফটে চারজন করে প্রায় ১২ হাজার আনসার ও ভিডিপি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ।
পূর্বদিক ডেস্ক ::
মহাসড়কে যানবাহনে নাশকতা রোধে ১২ হাজার আনসার ও ভিডিপি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পর্যায়ক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ ৯৯৩টি পয়েন্টে তাদের মোতায়েন করা হবে। গতকাল সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল থেকে মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ২১৬টি পয়েন্টে আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি পয়েন্টে নিয়োগ দেয়া হবে চারজন করে তিন শিফটে ২ হাজার ৫৯২ জন আনসার। এভাবে পর্যায়ক্রমে ৯৯৩টি পয়েন্টে প্রায় ১২ হাজার মোতায়েন করা হবে। এজন্য বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় তিন কোণাকৃতির একটি ধাতব বস্তু সাংবাদিকদের দেখিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো ব্যবহার করে গাড়ি পাংচার করা হচ্ছে। এর পর ভাংচুর ও আগুন দেয়া হচ্ছে। চলমান অবরোধে ৩২৫টি বাস-ট্রাক পোড়ানো হয়েছে এবং ভাংচুরের শিকার হয়েছে ৫০০ যানবাহন। এর মধ্যে বিআরটিসির গাড়ি পুড়েছে পাঁচটি ও ভাংচুর হয়েছে ২৬টি। নাশকতায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন পরিবহন শ্রমিক।
অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সভায় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ বলেন, সংস্থাটির পক্ষ থেকে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ চারটি মহাসড়ক সার্ভে করা হয়েছে। এগুলো হলো— ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-বগুড়া-দিনাজপুর, ঢাকা-বগুড়া-হিলি ও ঢাকা-রাজশাহী-সোনামসজিদ মহাসড়ক। এ চার মহাসড়কে ২১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে। মূলত যেসব সড়ক-মহাসড়কের পাশে গ্রাম আছে, সেখানে হামলার ঘটনা বেশি ঘটছে। এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে আনসার নিয়োগ করা গেলে রেলের মতো সুফল পাওয়া যাবে।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সারা দেশে সব মহাসড়কে ৯৯৩টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে। এগুলোয় আনসার নিয়োগ করা হলে দেশের চিত্রই বদলে যাবে। এজন্য তিন শিফটে চারজন করে ১১ হাজার ৯১৬ জন আনসার প্রয়োজন হবে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, মহাসড়কে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি টহল দিচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট না হওয়ায় অনেকে বিলাসবহুল গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছে না। এ অবস্থা বেশি দিন চললে অনেক পরিবহন কোম্পানিই দেউলিয়া হয়ে পড়বে। তাই এখনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক শহিদুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন, সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান প্রমুখ।