ই-সিগারেটেও সমান ক্ষতিকর
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, ৬:১২ পূর্বাহ্ণ
হেলথ ডেস্ক ::
তামাকজাত দ্রব্যের মতোই ই-সিগারেটে ধূমপান করা ক্ষতিকর মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই ইলেকট্রনিক সিগারেট (ই-সিগারেট) ব্যবহারও নিয়ন্ত্রণ করার চিন্তা করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগটির কর্মকর্তারা।
ক্যালিফোর্নিয়ার জনস্বাস্থ্য দফতর ই-সিগারেটের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ক্যান্সারের জন্য দায়ী উপাদান নির্গত হয় ই-সিগারেট থেকে। ধূমপায়ীরা ই-সিগারেটের মাধ্যমেও নিকোটিনে আসক্ত হয়ে পড়েন। তবে এ বিষয়ে আরো গবেষণা চালানো দরকার বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ই-সিগারেট ব্যাটারিচালিত এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। দেখতে হুবহু সিগারেটের মতোই। মূলত ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে অনেক ধূমপায়ী এটি ব্যবহার করেন। এতে অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান বাদ দিয়ে কেবল নিকোটিন সেবন করতে পারেন ব্যবহারকারী। সাধারণ ই-সিগারেটে থাকে একাধিক প্রকোষ্ঠ। এগুলোয় থাকে ব্যাটারি ও নিকোটিনের কার্ট্রিজ উত্তপ্ত হওয়ার মতো ক্ষুদ্র যন্ত্র। কার্ট্রিজে তরল নিকোটিন সরবরাহ করা হয়। পুনর্ব্যবহারযোগ্য নিকোটিনের কার্ট্রিজের দাম ৫-২০ ডলার। নিকোটিনের বদলে ফল, চকোলেট কিংবা অন্য ফ্লেভারেও পাওয়া যায় ই-সিগারেটের কার্ট্রিজ।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা রন চ্যাপম্যান বলেন, প্রচলিত সিগারেটের মতো ক্ষতিকর নয় ই-সিগারেট। কিন্তু পুরোপুরি নিরাপদও নয়। তিনি আরো জানান, প্রচলিত ধূমপানের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকলেও ই-সিগারেটের ক্ষেত্রে তা নেই। নতুন প্রজন্মও এর মাধ্যমে নিকোটিনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। গত বছরের এক সমীক্ষায় জানা যায়, স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ১৭ শতাংশ ই-সিগারেটে আসক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন, ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তার সঙ্গে বাড়ছে ধূমপানের অভ্যাস। অথচ গত দুই দশকের চেষ্টায় ক্যালিফোর্নিয়ায় ধূমপান অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
২০১০ সালেই এক আইনের মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে ই-সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে ক্যালিফোর্নিয়া সরকার। তখন দেখা যায়, নানা ফ্লেভারের ই-সিগারেটেও আসক্ত হয়ে পড়ছে তারা। ই-সিগারেটে ধূমপান করে ২০১২ সালে সাত শিশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এদের সবার বয়স পাঁচ বছরের কম। অথচ গত বছর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৪-এ।