নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পরপরই সাজা দিতে এসপির অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত চায় পুলিশ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জানুয়ারি ২০১৫, ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ
চলমান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের তাৎক্ষণিক সাজা দিতে জেলায় জেলায় পুলিশ সুপারের (এসপি) অধীনে দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে কর্মকর্তা পর্যায়ের বেঠকে।
পূর্বদিক ডেস্ক ::
চলমান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এ জন্য জেলায় জেলায় পুলিশ সুপারের (এসপি) অধীনে দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে হরতাল-অবরোধের সময় নাশকতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের পরপরই সাজা দিতে পারবেন।
পুলিশ সপ্তাহ-২০১৫ উপলক্ষে গতকাল ২৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ সময় খোলামেলা আলোচনায় মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা নানা ধরনের দাবির কথা জানান।
বৈঠকে আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করেন, ঢাকার বাইরে বৈধভাবে মোবাইলে আড়িপাতার ব্যবস্থা থাকতে হবে। বৃহত্তর জেলাগুলোতে পুলিশের জন্য সাঁজোয়া যানও চান কয়েকজন কর্মকর্তা। বৈঠকে পৃথক পুলিশ বিভাগ করারও দাবি ওঠে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকদের না করে পুলিশ সুপারদের করারও প্রস্তাব আসে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, পুলিশের সমস্যার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। যৌক্তিক সব দাবি পূরণ করা হবে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রতিবছরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সারা দেশের পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পর্যন্ত সব পদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সামনে তাঁদের অভাব-অভিযোগও তুলে ধরেন। মন্ত্রীও সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব মোজাম্মেল হক খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, পুলিশের জনবল বৃদ্ধি করা এখন গুরুত্বপূর্ণ দাবি। বাংলাদেশে প্রতি ১ হাজার ৬৬ জনের জন্য মাত্র একজন পুলিশ আছে। ভারতে ৭২৮ জনের জন্য একজন আর পাকিস্তানে ৬২৫ জনের জন্য একজন পুলিশ। জাতিসংঘের মানদণ্ড হলো প্রতি ৪০০ জনের জন্য একজন পুলিশ থাকতে হবে।
বৈঠকে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর বলেন, হরতাল-অবরোধে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সময় যারা হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া যেতে পারে। এ জন্য প্রতি জেলায় পুলিশ সুপারের অধীনে দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হোক।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাফিজ আক্তার বৈঠকে বলেন, টহল দেওয়ার মতো হাইওয়ের পুলিশের পর্যাপ্ত গাড়ি নেই। তাদের নির্ভর করতে হয় সাধারণ মানুষের গাড়ি রিক্যুজিশনের ওপর।