আজ শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০১৫, ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
আজ থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠানের রেওয়াজ থাকলেও এবার তা পিছিয়ে ২৭ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এমন সময়ে এই বার্ষিক কর্মসূচি শুরু হচ্ছে যখন দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীর দারুণ ব্যস্ত সময় কাটছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সারা দেশে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। তাই অনেকটা নির্ঘুম, বিশ্রামহীন সময় কাটছে পুলিশ সদস্যদের।
‘পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতেই ধরপাকড় করছে’ — স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের ধরা।
কিন্তু বিরোধী দলগুলো বরাবরই অভিযোগ করছে, পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার, যে অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে সম্প্রতি।
এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের প্রশ্নটি আবারো সামনে চলে এসেছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলছেন, “সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। যখন যেটুকু দরকার হচ্ছে করছি। একটা নীতিমালা করা হচ্ছে আরও সংস্কারের জন্য যাতে করে পুলিশ আরও জনগণের বন্ধু হয়”।
রাজনৈতিক কাজে পুলিশকে ব্যবহারে বিরোধী দলের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, “রাস্তাঘাটে যে সহিংসতা, পেট্রল বোমা, জঙ্গি কর্মকাণ্ড এসব প্রতিরোধে পুলিশ গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ধরপাকড় করছে”।
তার দাবি, “ যাদের ধরা হচ্ছে তারা অনেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত কিন্তু তাদের হাতে নাতে ধরা হচ্ছে। তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ধরা হচ্ছে। তারা হুকুম দিয়ে বা অর্থ দিয়ে এগুলো করছে। কিংবা হাতে নাতে ধরা পড়ছে”। তিনি বলেন এসব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে তো ক্রমাগত ভাবেই তো বাড়বে।
পুলিশের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন মানুষেও চাওয়া তো অনেক বেশি। সেজন্য লোকবল বাড়ানোসহ নানা সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা।
বাংলাদেশে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে চলমান অবরোধকে কেন্দ্র করে পুলিশি অভিযান জোরদার ছাড়াও সহিংসতাকারীদের ধরিয়ে দিতেও পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১,০০,০০০ টাকা এবং বোমা হামলাকারীকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
অবরোধ চলাকালে ঢাকায় ১২০ টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এখনো পর্যন্ত ঢাকায় ৬৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একদিকে যখন পুরস্কার ঘোষণা করা হচ্ছে অন্যদিকে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জোরদার হচ্ছে।
বাসে আগুন দেয়া বা এ ধরণের সহিংসতায় জড়িতদের ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, দেশের যে সব জায়গায় বোমা হামলার ঘটনা বেশি হচ্ছে সে সব জায়গায় পুলিশ ও র্যাবের অভিযান জোরদার করা হয়েছে ।