রাজনগরে নিহতের ১৭ দিন পর কবর থেকে শিশুর লাশ উত্তোলন
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জানুয়ারি ২০১৫, ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগরে কন্যা শিশু জন্ম দেয়ার কারণে মায়ের উপর পিতার নির্যাতনের সময় নিহত শিশুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আজ ২০ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হক, এসআই আবুল হোসেন ও এসআই আব্দুর রহমান তরফদারের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের ১৭দিন পর শিশুটির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের কাছারী আরশাদ মিয়ার (৪০) স্ত্রী পিয়ারুন বেগম গত ২৮ নভেম্বর কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কন্যা শিশু জন্ম দেয়ার অপরাধে পিয়ারুন বেগমের উপর শুরু হয় স্বামী আরশাদ মিয়ার নির্যাতন। গত ৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে পিয়ারুন বেগমের উপর স্বামী আরশাদ মিয়া নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। লাকড়ি দিয়ে বেধরক পিটানোর সময় পিয়ারুন বেগমের কোলে থাকা তামিয়া আক্তার নামের ৩৫দিন বয়সী শিশুটির মাথায় আঘাত লাগলে সে রক্তাক্ত জখম হয়। আরশাদ আলী ও তার আত্মীয়-স্বজন তাকে (শিশুটিকে) হাসপাতালে নিয়া যান। দুপুরে তাকে মৃত নিয়ে আসেন। পরে ওই দিনই বিকালে শিশুটির লাশ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পিয়ারুন বেগম বাদী হয়ে রাজনগর থানায় স্বামী আরশাদ মিয়া ও তার ভাই ভাইয়ের স্ত্রীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের জন্য আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে নিহতের ১৭দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু চৌধুরী, এসআই আবুল হোসেন ও এসআই আব্দুর রহমান তরফদারের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে মাথার বামপাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।