কমলগঞ্জে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভর্তি বাণিজ্য, প্রতিবাদে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০১৫, ৪:১২ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জমজমাট ভর্তি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ভর্তি বাণিজ্যের প্রতিবাদে মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন। ইচ্ছে মতো ভর্তি ফি আদায়ে শিক্ষককের কাছ থেকে সহনশীল আচরণ না পাওয়ায় গতকাল ১১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ ইউএনও, ওসি (তদন্ত) ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিভাবক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি ফির সাথে উন্নয়নসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যুক্ত করে ৯৯০ টাকা হারে ফি আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিন বিল্ডিং এর জন্য বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানান। বলরাম কৈরী, মোহন লাল নুনিয়া, সুনিল শীল সহ অভিভাবকরা বলেন, আশপাশ বিভিন্ন স্কুলে ভর্তিতে সাকুল্য সাড়ে ৬শ থেকে ৮শ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৯০ টাকা আদায় করার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক বাড়তি টাকা বিল্ডিং তৈরির জন্য নেয়া হচ্ছে বলে জানান। এ সময়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু স্কুলে আসলে শিক্ষক আব্দুল মুমিন চেয়ারম্যানের সাথে অসদাচরণ করেন। এরপর অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং তারা প্রতিবাদ করেন।
মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানু বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক অসদাচরণ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিনকে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছোবহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুমিনের সাথে তাদের পূর্ব বিরোধ ছিল এবং এই সুযোগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তবে ইউএনও ও ওসি সাহেব এসে তা সমাধান করে গেছেন।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধা করে দিয়েছেন। তবে অন্যান্য স্কুলে অতিরিক্ত ফি আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার শমশেরনগরসহ কয়েকটি বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ১৫শ টাকা হারে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।