রাজনগরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিদের ৩ মাস ধরে বেতন বন্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০১৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ণ
রাজনগর প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত ৬০ জন দপ্তরি কাম প্রহরীদের ৩ মাসের বেতন ভাতা আটকে আছে। বেতন ছাড়ের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পত্র দেয়া হলেও ছাড় হয়নি তাদের বেতন ভাতা। এতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বেতন ভাতা ছাড় না দেয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সারাদেশে সর্ব সাকুল্যে ৮৫০০ টাকা বেতনে দপ্তরি কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে গত ২০১৩-২০১৪ এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে রাজনগর উপজেলার ১৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬০টি বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়। চলতি অর্থ বছরে তাদেও বেতর বাবত অধিদপ্তর থেকে ২৫ লাখ টাকা ছাড় দেয়া হয়। এতে জুন-১৪ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের বেতন আদায় করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী আর কোন টাকা না আসায় রাজনগর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ জন কর্মচারীর বেত গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বেতন আটকে আছে। ফলে বেতন ভাতা না পাওয়ায় এসব কর্মচরীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। বেতন ভাতা ছাড়ের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে গত ২৩ ডিসেম্বর উশিঅ/রাজ/৮৬৮ স্মারকে পত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো এসব কর্মচারীদের বেতন ভাতা ছাড় দেয়া হয়নি। কর্মচারীদের বেতন ভাতা ছাড়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সময়মতো পত্র না দেয়ায় এদের বেতন ভাতা আটকে আছে বলে মনে করছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
দক্ষিণ ঘড়গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী মো. ছালিক আহমদ বলেন, আমরা গত ৩ মাস থেকে বেতন ভাতা পাচ্ছি না। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে আছে। রাজনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী মো. খোকন মিয়া বলেন, বেতনের জন্য আমরা বারবার অফিসে যোগাযোগ করেছি। কর্মকর্তা বলছেন বেতন আসেনি। আসলে পেয়ে যাবেন। বেতন ভাতা না পাওয়ায় দুর্ভোগে আছি।
রাজনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুমা ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষা অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আমি নতুন এসেছি। আসার পরে জেনেছি বরাদ্দ না থাকায় তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। বরাদ্দ এসে যাবে।