অল্প লবণেই জীবনের সুস্থতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ জানুয়ারি ২০১৫, ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ
হেলথ ডেস্ক ::
লবণ শুধু খাবারে স্বাদ এনে দেয় না, এই মিনারেলটি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। আবার অন্যদিকে এই লবণই শরীরের অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে গেলে তা জীবনকে করতে পারে দুর্বিষহ।
পুরুষরা বেশি লবণ পছন্দ করে
জার্মানিতে বলা হয়ে থাকে, একজন মানুষের দিনে প্রয়োজন ৬ গ্রাম লবণ। তবে শতকরা ৫০ভাগ নারী দিনে ৬.৫ গ্রাম লবণ গ্রহণ করে থাকেন। আর সে ক্ষেত্রে পুরুষ লবণ গ্রহণ করেন দিনে ৯ গ্রামেরও বেশি। চিকিৎসকগণ বলেন, ‘‘মানুষ যদি এতো বেশি লবণ না খেতো তাহলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা অনেক কমে যেতো।’’
অতিরিক্ত লবণে হয় উচ্চ রক্তচাপ
লবণ শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক, আমাদের শরীরের যে হাজার হাজার কোষ রয়েছে, সেগুলো লবণ ছাড়া অকেজো হয়ে যাবে। তবে অনেক মানুষ আছেন যাঁরা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লবণ খান খাবারে এবং পানীয়তে। ফলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং দীর্ঘদিন এ অবস্থা হলে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
দিনে ৫ গ্রাম লবণের বেশি নয়-বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা
ডাব্লিউএইচও বা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার হিসেব অনুযায়ী একজন মানুষের দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। কেক, বিস্কুট, চিপস বা পনিরের মতো নানা কিছুর মধ্য দিয়ে অনেকে দিনে ২৩ গ্রাম লবণ খেয়ে থাকেন।
আলুর চিপস
অনেকেই টিভি দেখার সময় চিপসের প্যাকেট সাথে নিয়ে বসেন। টিভি দেখা শেষ হওয়ার আগেই হয়তো বা শেষও হয়ে যায় চিপসের প্যাকেটটি। ছোট এক প্যাকেট আলুর চিপস-এ থাকে ৬.৯ গ্রাম লবণ। কাজেই খাবার আগে আর একবার ভেবে দেখুন !
বাইরের খাবার
তৈরি খাবারে থাকে অতিরিক্ত লবণ। তাছাড়া অনেকেই দুপুরে ক্যান্টিন বা রেস্তোরাঁয় খেয়ে থাকেন, সেখানকার খাবারে দেয়া হয় বাড়ির তুলনায় খানিকটা বেশি লবণ। ইটালিয়ান মজার খাবার ‘পিৎসা’-তেও কিন্তু থাকে প্রচুর লবণ। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রচুর ফল, শাক-সবজি খাওয়া উচিত।
ব্যায়াম করার তুলনা নেই
১৮টি দেশে মোট ১০০,০০০জন মানুষের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিলো। যাতে দেখা গেছে মানুষের শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি যত গ্রাম লবণ খাওয়া হয়, ঠিক সেভাবেই বেড়ে যায় উচ্চ রক্তচাপ। তবে খেলাধুলা বা ব্যায়াম ধমনীকে নমনীয় করে উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং ইনসুলিনের মাত্রা ভালো হয়। যারা লবণযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন, তাদের অবশ্যই প্রয়োজন যে কোনো ধরনের ব্যায়াম করা।
টেবিলে লবণ রাখবেন না
খাওয়ার সময় প্লেটে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কমিয়ে দিন, আর এটা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। খাবার টেবিলে লবণের পাত্রটি না রাখলে খাবারের সাথে আস্তে আস্তে লবণ নেওয়ার অভ্যাস কমে যাবে। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ আনতে যেয়ে জীবনের স্বাদ নষ্ট করবেন না।