কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে দুটি বগি পরিত্যক্ত রেখেই উদ্ধার কাজ সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ জানুয়ারি ২০১৫, ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও-মুন স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে দুর্ঘটনাকবলিত আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি বগি পরিত্যক্ত রেখে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর গতকাল ৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মির্জা মো. শামসুল ইসলাম ও জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, দুর্ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর সারাদেশের সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। টানা ১৬ ঘণ্টা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ২টি বগি পরিত্যক্ত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। যত দ্রুত সম্ভব বগিগুলো উত্তোলন করা হবে। তবে রেলওয়ের শ্রীমঙ্গল থানায় দায়রকৃত নাশকতা মামলায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিআরএম) কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলামকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে ৮ জানুয়ারি হতে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
ট্রেনে কর্তব্যরত রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ বোরহান জানান, ট্রেনটি মাইজগাঁও স্টেশনে আসার পর ইঞ্জিনের পেছনের বগিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। মাইজগাঁও স্টেশনে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে মেরামত করা হয়। ট্রেনের দুটি বগির মধ্যবর্তী সংযোগস্থানে তার দিয়ে বেঁধে সচল করে চালানো হয়। মাইজগাঁও স্টেশন ছাড়ার পর থেকেই বগির যাত্রীরা আতঙ্কে ছিলেন। কুলাউড়া স্টেশন ছাড়ার পর বেশিরভাগ যাত্রী ইঞ্জিনের পেছনের বগি থেকে সরে যান। দুর্ঘটনার আগে বিকট শব্দ করে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার মনু ও টিলাগাঁও স্টেশনের মধ্যবর্তীস্থানে ৩১৫ কিলোমিটারের ৬ নম্বর এলাকায় গতকাল ৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর রাত (আনুমানিক সাড়ে ৩টায়) দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেনের ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়।