সিলেট সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র কয়েছ লোদীও ‘হত্যা’ মামলার আসামি
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ জানুয়ারি ২০১৫, ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র কয়েস লোদীও হত্যা মামলার আসামী।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কয়েছ লোদীও হত্যাসহ দু’টি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। শেষ পযর্ন্ত কয়েস লোদীকেও আরিফুল হক চৌধুরীর ভাগ্য বরণ করতে হয় কিনা? এ নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে সিলেটে!
অভিযোগ উঠেছে, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও প্যানেল মেয়র কয়েস লোদীর ক্ষেত্রে আইন অনুসরণ করা হয়নি।
জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুল ইসলাম জানান, হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় আরিফুল হক চৌধুরীকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু একই অপরাধে আরেকজন কীভাবে দায়িত্ব পান? আইন তা সমর্থন করে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আদালতে দায়ের হওয়া ৩৫৪ নম্বর এবং ৩৫৫ অভিযোগপত্রে যথাক্রমে ২৬ ও ২৭ নম্বর আসামি কয়েছ লোদী।
হত্যা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় প্রায় বছরখানেক আগে তাকে আসামি করে এ দুই মামলায় সম্পূরকসহ তিনটি অভিযোগপত্র (নম্বর- ৩৫৪, ৩৫৫ ও ৩৫৫-ক) আদালতে দাখিল করা হয়। এই মামলায় কয়েছ লোদী কিছুদিন কারাভোগও করেন।
আদালত অভিযোগপত্রগুলো গৃহীত হয়। মামলা দু’টি মহানগর ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
৩৫৫ নং চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। এদিন হামলাকারীরা চৌহাট্টা পয়েন্টে পুলিশের পিকআপ, লেগুনা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ ব্যাংকের বুথে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এঘটনায় পুলিশসহ অনেকে আহত হন । হামলাকারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মোস্তফা মোর্শেদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন।
এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে ৮৪ জনকে আসামি করা হয়। এরমধ্যে নগরীর হাউজিং এস্টেট ১০১-১০২ নম্বর বাসার এমইউ আহমেদ লোদীর ছেলে কয়েছ লোদী হচ্ছেন ২৭ নম্বর আসামি।
এছাড়া ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সিলেটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগেরর ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (ধারা-১৬(২)/২৫-ঘ) মামলা দায়ের করেন এসআই কমর উদ্দিন।
ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের এই প্রাক্তন উপ পরিদর্শক (এসআই) নারায়ণ দত্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২)/২৫-ঘ ধারায় অভিযোগপত্র (নং-৩৫৪) দায়ের করেন। এই অভিযোগপত্রে কয়েছ লোদী হচ্ছেন ২৬ নম্বর আসামি।