সরকার ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি অবস্থানে
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ জানুয়ারি ২০১৫, ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনর বছর পূর্তি আজ। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি অবস্থানে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ের সামনে ১৩টি বালু ও ইট ভর্তি ট্রাক রাখা হয়েছে। কয়েক স্তরের পুলিশি অবস্থান দেখা যাচ্ছে সেখানে। খালেদা জিয়া ওই কার্যালয়ের ভেতরেই রয়েছেন।
আশপাশের সড়কগুলোর সাথে যোগাযোগই কার্যত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে ওই কার্যালয়ের।
বেলা এগারটার দিকে খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল গুলশান কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন খালেদা জিয়া।
মারুফ কামাল খান সোহেল বলেন, ” দুপুরে বের হয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিক যাবেন। পথে যেখানেই লোক সমাগম হবে সেখানেই কথা বলবেন তিনি”।
এর আগে গত রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা মেরে দিয়েছিল পুলিশ।
আজ সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে ঢাকার মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের প্রায় সব বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিষিদ্ধ রয়েছে সভা সমাবেশ।
প্রায় সব জায়গাতেই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিলো। বেশিরভাগ এলাকায় কর্মসূচির স্থানগুলোতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে বিএনপি আজ তাদের সমাবেশের ঘোষণায় অটল থাকলেও দলটির নেতাকর্মীদের তেমন কোন উপস্থিতি আজ সোমবার সকাল থেকে তেমন কোথাও এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবশ্য এর আগে ১৬টি স্থানে আজ সমাবেশের ঘোষণা দিলেও পরে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা জারির পর তা স্থগিত করে।
ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন নেই বললেই চলে। জনসাধারণের চলাচলও স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অনেক কম।
রাজধানীর সাথে দেশের অন্য অঞ্চলের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ কার্যত বন্ধ রয়েছে।
ফলে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগের।
ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে র্যাব পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে খালেদা জিয়া বলেছেন সরকারি বাধা সত্ত্বেও তিনি আজকের তাঁর পূর্বনির্ধারিত সমাবেশে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। তিনি বলেছেন শনিবার থেকে তাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তবে ওই রাতেই গণভবনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেছেন খালেদা জিয়া চাইলে বাসায় যেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন বলেন, “নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে যিনি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি কি করে ভাবেন যে সরকার উৎখাত করবেন। তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনৈতিক ভুল করেছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে”।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলন সফল করতে যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ যখন খবর পাবেন হাসিনা পদত্যাগ করেছে এরপর আন্দোলন বন্ধ হবে। এর আগে আন্দোলন বন্ধ হবে না। আন্দোলন শুরু হয়েছে ঢাকা শহরে সমগ্র বাংলাদেশে এর নেতৃত্ব দিতে হবে আপনাদের”।