সুন্দরবনে বাণিজ্যিক নৌ চলাচল বন্ধের সুপারিশ করল জাতিসংঘ
প্রকাশিত হয়েছে : ১ জানুয়ারি ২০১৫, ৭:০২ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলের মতে, পরিবেশের ওপর ম্যানগ্রোভ বন এবং ইকো সিস্টেম বা পরিবেশের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে এর একটা সীমিত প্রভাব পড়বে। ম্যানগ্রোভ গাছের চারার ওপর কিছু প্রভাব পড়েছে কিন্তু একইসাথে দেখা গেছে যে সেখানে নতুন নতুন চারাও গজিয়েছে। এটা বেশ ভাল দিক।
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের একটি নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারডুবির পর সেখান তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দল গতকাল ৩১ ডিসেম্বর বুধবার একটি রিপোর্ট দিয়েছে। এতে তারা বলছেন, সুন্দরবনের পরিবেশের ওপর এই তেল-দূষণের প্রভাব বেশ সীমিত বলেই তাদের মনে হয়েছে।
২৫-সদস্যের জাতিসংঘ দলটি বাংলাদেশ সরকারের সাথে মিলে সুন্দরবনে বেশ কিছুদিন ধরে তদন্ত করার পর ঢাকায় ফিরে গতকাল বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সেখানে এই তদন্ত দলের মুখপাত্র এমিলিয়া ওয়ালস্ট্রম বলেছেন পরিবেশের ওপর প্রভাব সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হবে যে ম্যানগ্রোভ বন এবং ইকো সিস্টেম বা পরিবেশের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে এর একটা সীমিত প্রভাব পড়বে।
`জোয়ারের কারণে আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ওপর আমরা এর তেমন কোনো প্রভাব দেখতে পাইনি। ম্যানগ্রোভ গাছের চারার ওপর কিছু প্রভাব পড়েছে কিন্তু একইসাথে দেখা গেছে যে সেখানে নতুন নতুন চারাও গজিয়েছে।” তিনি বলেন এটা একটা সুখবর। বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর ঘটনাও খুব একটা ঘটেনি।
কিন্তু এমিলিয়া ওয়ালস্ট্রম বলেছেন দুর্ঘটনার এক দুই সপ্তাহ পর তারা যেটা দেখেছেন সেটা সামগ্রিক চিত্র নয়। ` তাই এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের দিকে নজর দিতে আমরা সুপারিশ করেছি।”
এমিলিয়া ওয়ালস্ট্রম পরামর্শ দিয়েছেন যে সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই অরণ্যের ভেতর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা উচিত।
`আরেকটা জিনিস আমরা লক্ষ্য করেছি যে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে সারা বিশ্বেই প্রস্তুতির ঘাটতি থাকে। সুন্দরবনে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং এই ঘটনা থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে আরো জোরালো করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন ছড়িয়ে যাওয়া তেল পরিস্কার করতে বনবিভাগ যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলোতেও তারা খুশি। তবে তিনি বলেন বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল পরিহার করতে হবে।
গত ৯ই ডিসেম্বর সুন্দরবনের শেলা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় একটি ট্যাংকার ডুবে গেলে এতে থাকা সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল ছড়িয়ে পড়ে । এরপর থেকে সুন্দরবনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল।