জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪, ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর এই কমান্ডারের বিরুদ্ধে আনা ৬টি অভিযোগের মধ্যে ৫টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম জানান, আদালত ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে আজহারুলকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে তাকে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে ৫ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
আজ ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন সদস্য বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক এজলাসে আসেন। এরপর ১৫৮ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন বিচারক।
এর আগে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
আজহারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আজহারুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। হাত উচু করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন। আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর।’
এর আগে গত সোমবার রাতে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
একাত্তরে আজহার ছিলেন জামায়াতের সেই সময়ের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের জেলা কমিটির সভাপতি। পদাধিকার বলেই আলবদর বাহিনীর রংপুর শাখার কমান্ডার ছিলেন তিনি।