জানুয়ারিতেই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে দেশের ২য় চা নিলাম কেন্দ্রের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪, ৭:২২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
দীর্ঘ ৬৫ বছর পর আগামী জানুয়ারিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। অধিকাংশ চা বাগানের অবস্থান সিলেট অঞ্চলে হওয়ায় এবং চায়ের মান রক্ষা ও পরিবহন ব্যয় কমাতে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।
এই দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের। যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, দু’টি স্থানে নিলাম কেন্দ্র হলে সমস্যা আরও বাড়বে।
আন্তর্জাতিক বাজারে চা রপ্তানির সুবিধার্থে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১৯৪৯ সালে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও পঞ্চগড়ের ১৬৩টি চা বাগানে উৎপাদিত চা নিলামের জন্য চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে নেয়া হয়।
এই বাগানগুলোর মধ্যে সিলেট অঞ্চলে ১৩২টির অবস্থান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চা চট্টগ্রামে নিতে গিয়ে চায়ের মান নেমে যাওয়া ছাড়াও নানা ঝামেলায় পড়তে হয়।
শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের সুবিধা প্রসঙ্গে শ্রীমঙ্গলের জুলেখা নগর টি এস্টেটের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা গুলশান আরা জানান, ‘বস্তা-জাত করে আমরা চট্টগ্রামে পাঠাই, কিন্তু তারপরেও আমরা শান্তিতে থাকতে পারি না। বেশিরভাগ সময়ই আমরা অস্থিরতায় থাকি যে ঠিকমতো চা পৌঁছালো কিনা। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে, চা চালানসহ গায়েব।’
টি প্ল্যান্টার্স অ্যান্ড অক্শনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সদস্য সচিব জহুর তরফদার জানান, ‘যদি শ্রীমঙ্গলে চা’য়ের নিলাম হয় এবং এখান থেকেই চা সারা বাংলাদেশে ছড়ায় তাহলে চায়ের গুণগত মান বজায় থাকবে এবং আমাদের পরিবহণ খরচও কমে আসবে।’
বাংলাদেশ চা বোর্ড জানিয়েছে, আগামী বছরের শুরু থেকে শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন দু’টি স্থানে নিলাম কেন্দ্র চালু হলে সমস্যা আরও বাড়বে।
সিলেট টি এস্টেট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সবুর খান বলেন, ‘দুইটা নিলাম কেন্দ্র থাকলে কিছু সমস্যাও হবে। বিদেশি ক্রেতারা এখানে বিভ্রান্ত হবে। তাই যদি নিলাম হতেই হয় তাহলে সেটা এক জায়গাতেই হওয়া উচিত। সিলেটে হলে, সেটা যেনো আর চট্টগ্রামে না হয়।’
চা বাগান মালিকরা জানিয়েছেন, সিলেট অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে চা পরিবহনে কেজি প্রতি খরচ পড়ে এক টাকা ৯০ পয়সা। শ্রীমঙ্গল নিলাম কেন্দ্র চালু হলে এই খরচ অর্ধেকেরও বেশি কমে আসবে।