প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলটি চালু হচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪, ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের বিপর্যয়ের পেছনে ঘষিয়াখালী চ্যানেলের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে বলে পরিবেশবাদীরা বলছেন।
ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির রুবাইয়াৎ হাসান জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে শেলা নদীর বিকল্প নৌপথটি বন্ধ করে মংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলটি আবার চালু করার দাবি করে আসছিলেন।
২০১১ সালে ঐ অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কুমার নদী পলি জমে ভরাট হওয়ার পর থেকে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ তখন থেকেই সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে শেলা নদীকে বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করছে।
কিন্তু বিআইডাব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা বলছেন, ঘোষিয়াখালীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গত পাঁচ মাস ধরেই ড্রেজিং চলছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক আশরাফ হোসেন জানান, তাদের পাঁচটি ড্রেজার ১লা জুলাই থেকেই ঘোষিয়াখালী চ্যানেলে ড্রেজিং-এর কাজ করছে।
তিনি বলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে বলে তারা আশা করছেন।
সুন্দরবনের শেলা নদীতে গত ৯ই ডিসেম্বর একটি ট্যাংকার ডুবে গেলে সাড়ে তিন লক্ষ লিটার ফার্নেস তেল পানিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় সুন্দরবনে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় পরিবেশ বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
তেল দুষণের এই ঘটনার পর রোববার এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় আরেকবার ঐ নৌপথ স্থায়ীভাবে বন্ধের সুপারিশ করে। কিন্তু নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এই প্রস্তাব নাকচ করেন।
ওদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঘষিয়াখালী চ্যানেলে নাব্যতা আবার ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার ঢাকায় মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকের পর শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, নাব্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘষিয়াখালী চ্যানেলের আশেপাশে সকল চিংড়ির ঘের সরিয়ে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছেন।