কুলাউড়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে মেয়র লাঞ্ছিত, এলাকায় উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ডিসেম্বর ২০১৪, ২:৩৬ অপরাহ্ণ
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যান মুখোমুখি অবস্থানে। অবরোধ, মিছিল আর প্রতিবাদ সভায় শহর জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে । জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফি আহমদ সলমানের হাতে আজ ১১ ডিসেম্বের বৃহস্পতিবার লাঞ্চিত হয়েছেন বিএনপি একাংশের সভাপতি ও পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ। এর প্রতিবাদে পৌরসভার কমিশনার, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং পৌরবাসী একঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পর আগামী ২৪ ঘণ্টা মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন জুনেদ অভিযোগ করেন, ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় রাস্তা বন্ধ করে রাস্তার পাকাকরণের কাজ চলছিলো। তিনি ও তার কাউন্সিলার উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছিলেন। এসময় কাদিপুর ইউনিয়নের মেম্বার রাস্তার ব্যারিকেড তুলে শহরে আসতে চাইলে কাউন্সিলার বাধা দেন। পরে কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররা কাজের এলাকায় আসেন। এসময় চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে মেয়রকে লাঞ্চিত করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে ১ ঘণ্টা পৌরসভার সম্মুখে রাজপথ অবরোধ করে রাখেন মেয়র অনুসারী ও পৌর কাউন্সিলররা । এসময় তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেয় ।
এসময় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র কামাল উদ্দিন জুনেদ, প্যানেল মেয়র জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, কাউন্সিলার শামীম আহমদ ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল আলম সুহেল।
এদিকে সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুল হাসান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান ঘটনাস্থলে আসেন এবং ঘটনার সুষ্ঠ সমাধানের প্রতিশ্রুতিতে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
অপর দিকে রাতে চেয়ারম্যানের অনুসারী ও কাদিপুর ইউপি সদ্যসরা কুলাউড়া চৌমুহনীতে ইউপি সদস্য ও কুলাউড়া দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম মিটুকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে শহরে মিছিল ও পথসভা হয়। সভায় ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিতকারী কুলাউড়া পৌর মেয়র সহ দায়ীদের গ্রেফতারের দাবী জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শফী আহমদ সলমান, কুলাউড়া পৌরকাউন্সিলর ইকবাল আহমদ শামীম। একেএম শফি আহমদ সলমান তার বক্তবে মেয়রকে দায়ী করে বলেন মিঠু মেম্বারকে লাঞ্ছিত করার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। এবং মেয়ররের কাছে ঘটনা জানতে চান তখন মেয়র তার ভুল বুঝতে পেরে মাফ চান। পরে তিনি ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রং লেপনের চেষ্টা চালিয়ে আমাকে ও আমার ইউনিয়ন অপমানিত করেছেন । তবে তিনি মেয়কে লাঞ্চিত করার বিষয়টি স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মো. আতিকুর রহমান জানান, এঘটনা তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।