শীতের শুরুতেই শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে বিদেশি পর্যটকের ভিড়
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০১৪, ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
জয়নাল আবেদীন ::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে এখন শীতের শুরু থেকে বিদেশি পর্যটকের আগমনে উপচেপড়া ভিড়। এদের মধ্যে নেদারল্যান্ড ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও স্পেন এর নাগরিকরা বেশি দেখা যাচ্ছে।
জানা যায়, গত ১ বছরে প্রায় দুই হাজার বিদেশি পর্যটক শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করেছেন। ছোট বড় উচু-নীচু টিলা আর হরেক রকমের গাছ-গাছালি। টিলার পাশ দিয়ে আঁকাবাঁকা সড়ক। সড়কের কোথাও উচু, কোথাও নিচু। দেশের ভেতর অন্যরকম এক দেশ। চায়ের দেশ, শীতের দেশ, মেঘের দেশ, বনবনানী, টিলা আর হাওরের দেশ কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল। যেখানে বাস করে অনেকগুলো নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষ। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়াসহ বৈচিত্র্যময় এসব স্থান দেখতে দূরদেশ থেকে পর্যটকরা ছুটে আসেন।
কমলগঞ্জে যেসব নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বাস তারা হচ্ছে-ত্রিপুরা, খাসিয়া, মণিপুরী, সাঁওতাল, গারো, মুরা, খারিয়া, উড়াং। এছাড়া উপজেলার চা বাগানগুলোতে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। এসব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, জীবনাচার, পোশাকের ভিন্নতাসহ আদিবাসী গ্রাম ও পাড়ার বিচিত্র দৃশ্য উপভোগ করেন পর্যটকরা। দেশের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় এ পাহাড়ি উপজেলা শ্রীমঙ্গল প্রধানত হাওর, কমলগঞ্জে চা-বাগান, আর উঁচু-নীচু টিলা বেষ্টিত। বিচিত্র এ উপজেলায় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বেশ কিছু পর্যটন স্পট রয়েছে।
প্রধানত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, চা, রাবার, লেবু, আনারস বাগান, শ্রীমঙ্গলে বাইক্কা বিল, টি রিসোর্ট, চা জাদুঘর, ডিনস্টন সিমেট্রি, নির্মাই শিববাড়ি, গলফ ফিল্ড, লালমাটি পাহাড়, বার্নিশ টিলা, বন্যপ্রাণী সেবাশ্রম, চা বাগানের লেক, চা-কন্যা ভাস্কর্য, হাইল হাওর, বধ্যভূমি ৭১, বিটিআরআই, খাসিয়া পানপুঞ্জি ও গারোপল্লী, মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১ প্রভৃতি দৃষ্টিনন্দিত।
কমিউনিটি ইকো-ট্যুরিজম এর অপারেশন ম্যানেজার ও ইকো-ট্যুর গাইড রাসেল আলম জানান, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও স্পেন এর নাগরিকরা কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে ভ্রমণে আসছেন। বিদেশি পর্যটকদের পদচারনায় পর্যটন কেন্দ্রগুলো মুখর হয়ে উঠেছে।