শাবি’র সংঘর্ষের ঘটনায় রিমান্ড শেষে ৯ ছাত্রলীগ কর্মীকে জেল হাজতে প্রেরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ ডিসেম্বর ২০১৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৯ ছাত্রলীগ কর্মীর দুই দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রিমান্ড শেষ হলে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১ ডিসেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ পুলিশ এসল্ট মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জালালাবাদ থানার এস আই আতিকুর রহমান আটক ৯ ছাত্রলীগ কর্মীর রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক তাদের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার থেকে তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান।
রিমান্ডে নেয়া ছাত্রলীগ কর্মীরা হচ্ছে, জয়ন্ত দাস, আশিক মুরসালিন, উজ্জ্বল আহমদ, নাঈম আহমদ, বেলাল আহমদ, সজল দাস অনিক, মেহেদী হাসান, এমরান হোসাইন ও সুলতান আহমদ। জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, গত ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আটক ছাত্রলীগ কর্মীদের রিমান্ড শেষে গতকাল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে জালালাবাদ থানা পুলিশ। গত ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর সুরমা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম জাহিদ হোসেন। তিনি শাবির ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ছাত্র ও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার পাহাড়তলী এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে। গতকাল শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ ও সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থ গ্রুপের কর্মী জাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধের ভিডিও ফুটেজ দেখে জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ওই দিন জাহিদ সশস্ত্র অবস্থায় ক্যাম্পাসে মারামারি করেছে। তাই, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক ছাত্রলীগ কর্মীকে একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।