১২৪ কেজি সোনা পাচার, বিমানের ১০ কর্মীসহ ১৪ বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬ ডিসেম্বর ২০১৪, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২৪ কেজি সোনা নিয়ে আসার ঘটনায় মামলা করেছে শুল্ক বিভাগ। মামলায় বাংলাদেশ বিমানের ১০ জন কর্মীসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ভারতের ও একজন নেপালের নাগরিক রয়েছেন। ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই বিমানবন্দরে ওই সোনা আটক করা হয়।
গতকাল ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর থানায় ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশ বিমানে কর্মরত।
তাঁরা হলেন উড়োজাহাজ মেকানিক মাসুদুর রহমান, মেকানিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনিস উদ্দিন ভূঁইয়া, জুনিয়র ইন্সপেকশন অফিসার শাহজাহান সিরাজ, জুনিয়র সিকিউরিটি অফিসার কামরুল হাসান, ক্লিনিং সুপারভাইজার আবু জাফর, মেকানিক মজিবর রহমান, প্রকৌশল হ্যাঙ্গারের মেকানিক ওসমান গনি, ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসার সালেহ আহমেদ, হ্যাঙ্গারের কর্মী রায়হান ও মাকসুদ। প্রথম ছয়জন আসামি বিভিন্ন সময় সোনা পাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন। পরে আবার জামিনে মুক্তিও পান।
মামলার অন্য চারজন আসামি হলেন ভারতের নাগরিক জ্যাসন প্রিন্স, বাংলাদেশের জসিম, ১২৪ কেজি সোনার দাবিদার নেপালের নাগরিক গৌরাঙ্গ রোসান ও তাঁর বাংলাদেশি এজেন্ট মিলন সিকদার।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার কাজী মুহম্মদ জিয়া উদ্দিনের ভাষ্য, ১২৪ কেজি সোনা আটকের ঘটনায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খানকে প্রধান করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে এ মামলাটি করা হয়েছে।
গত বছরের ২৪ জুলাই দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজের (এয়ারবাস) কার্গো হোল থেকে ১২৪ কেজি ওজনের এক হাজার ৬৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। শুল্ক বিভাগের হিসাবে, যার মূল্য প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। এ যাবৎ ধরা পড়া সোনার চালানের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় চালান।