“ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে ” —সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ ডিসেম্বর ২০১৪, ১:১৪ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
যারা মুক্তিযুদ্ধ না করে সুযোগ বুঝে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছে তারা ফাও মুক্তিযোদ্ধা। ফাও মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন করলে কলঙ্ক আপনাদের। ফাও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করতে আপনাদেরকেই প্রতিবাদ করতে হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। কমলগঞ্জেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে হবে কমলগঞ্জবাসীকে। তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি পছন্দ করি না তাই ভিক্ষাবৃত্তিতে উৎসাহ করা ঠিক নয়। ষাটোর্দ্ধদের সিনিয়র সিটিজেন করে সারাদেশে সর্বক্ষেত্রে সিনিয়র সিটিজেনদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাঁচ ডিসেম্বর কমলগঞ্জ শক্রমুক্ত হয়েছিল। পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধ করে জেড ফোর্সের চার মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হয়েছিলেন। আজ এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী মুক্তিযোদ্ধা ও সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করছি। এই দিনটিকে মনে রেখে ৫ ডিসেম্বর কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান, সম্মানী ভাতাসহ সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
আজ ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ১২টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সমাজ সেবা অধিদপ্তর আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক অনুদান, সম্মানী ভাতা ও সুদমুক্ত ঋণদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উরোক্ত কথাগুলো বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইফতেখায়ের হোসেন ভূঁঞার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর, মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক অরবিন্দু দেব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার লিলি, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মুনিম তরফদার, সাবেক কমান্ডার ক্যাপ্টেন (অব.) সাজ্জাদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে কমলগঞ্জে হাটবাজারের ইজারালব্দ ৪ শতাংশ অর্থ থেকে ৬জন মুক্তিযোদ্ধাকে অনুদান দেওয়া হয় ৩০ হাজার টাকা। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার পিপিও বই বিতরণে ৯জনকে দেওয়া হয় ৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর সুপারিশে জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে অনুদান হিসাবে ৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে দেওয়া হয় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ৬টি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদান দেওয়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। সুদ মুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয় ৫০ জনের মাঝে ৫ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৮০ জনের মাঝে অনুদান দেওয়া হয় ১৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা।