কমলগঞ্জে উদ্ধারের দুদিন পরই রেলওয়ে যন্ত্রাংশ আবার লুট করল সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০১৪, ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে চুরি হওয়া রেল যন্ত্রাংশ গত ২৪ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করেন। পরে রেলওয়ে স্টেশন অফিস সংলগ্ন এলাকায় স্টেশন মাস্টারের জিম্মায় জব্দ করে রাখা হলে গতকাল ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোরে জব্দকৃত রেলযন্ত্রাংশ আবার লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তচক্র। এ ঘটনায় প্রশাসন ও রেলওয়ে বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রোস্তুম আলী ফকির জানান, এ স্টেশনের ডাউন আউটার সিগন্যাল এলাকায় প্রায় ৪০ বছর ধরে লোহার চাকাসহ বিপুল পরিমাণের লোহার যন্ত্রাংশ ছিল। গত রবিবার রাতে দুর্বৃত্তরা প্রায় ২০ মন ওজনের এসব যন্ত্রাংশ চুরি করে নেয়। খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে অভিযানে ভানগাছ রেলওয়ে স্টেশন এলাকার একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে চুরি যাওয়া এসব লোহার যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে স্টেশন মাস্টারের জিম্মার অফিসের পিছনে রাখা হয়। মঙ্গলবার ভোর রাত দুর্বৃত্তরা জব্দকৃত ক্রেনের একটি বড় চাকা, দুটি লোহার বড় পাত, একটি বড় লোহার পাত লুটে নিয়ে যায়। শব্দ শুনে তিনি (স্টেশন মাস্টার) অফিস থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিরোধ করতে চাইলে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা ধারালো রাম দা দিয়ে গলায় ধরে হুমকি দেয়।
স্টেশন মাস্টার ঘটনাটি দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে কমলগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এলাকাবাসী জানান, একটি সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র নিয়মিত ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে রেলপাতসহ রেল যন্ত্রাংশ চুরি করে নিচ্ছে। এদের প্রতিহত করতে রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি আজও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী উত্তর (এইএন) মুজিবুর রহমান বলেন, রেলওয়ে এলাকা থেকে উদ্ধার করলেও আসলে এগুলো রেলওয়ের কোন যন্ত্রাংশ নয়।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে উদ্ধার ও পরে লুটে নেওয়া সামগ্রী রেলওয়ের হবে। তিনি মনে করেন একটি শক্তিশালী চক্র এ কাজটি করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।