অবৈধ অর্থ পাচার তদন্তে আটটি দেশে চিঠি দিল দুদক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ নভেম্বর ২০১৪, ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক বলছে, দেশের ১৪ জন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে তারা এখন যে তদন্ত চালাচ্ছে, তার অংশ হিসেবে তারা বিদেশি সরকারের কাছে ৩৪টি চিঠি পাঠিয়েছে।
Mutual Legal Assistance Request (MLAR) নামের এসব চিঠিতে এই অর্থ দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে বিদেশি সরকারগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলছেন, তবে এই অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি মূলত নির্ভর করবে আদালতে অর্থ পাচার মামলায় দুদকের সাফল্যের ওপর।
পাচার হওয়া টাকার পরিমাণ কত হতে পারে – তা না জানালেও দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এর সাথে বিভিন্ন ধরণের লোক জড়িত – যার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ীরা আছেন। দু-একজন সরকারি কর্মকর্তাও আছেন বলে জানান বদিউজ্জামান।
তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং ও থাইল্যান্ড সহ মোট আটটি দেশে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পাচার হওয়া অর্থ কি ভাবে তারা দেশে ফেরত আনেন তা ব্যাখ্যা করে বদিউজ্জামান বলেন, বিভিন্ন সূত্রে অর্থপাচার সংক্রান্ত খবর ও তথ্য সংগ্রহ করার পর এটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে এই সহায়তা চাওয়া হয়।
ইতিবাচক উত্তর পেলে এবং আদালতে দুদকের করা মামলার রায় পক্ষে গেলে তার পরই বিদেশে থাকা অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়।
তিনি জানান, ১৪টি দেশ থেকে ইতিমধ্যেই জবাব পাওয়া গেছে এবং তারা কমিশনের সাথে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, এর আগে তারা পাচার হওয়া ২১ কোটি টাকা সিঙ্গাপুর থেকে ফিরিয়ে এনেছেন।