শাবিপ্রবিতে হলের দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ২০
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০১৪, ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ছেলেদের বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামীকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম সুমন। তিনি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন ভিসি সুশান্ত কুমার দাস।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আধিপত্য বিস্তার, নতুন কমিটির বিরুদ্ধাচারণ ও হল দখলকে কেন্দ্র করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রক্টর ড. হিমাদ্রি শেখর রায়সহ ৮-১০ জন আহত হন।
আহতদের চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাতালে পাঠানো হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টরের পেটের বাম দিকে ও পায়ে ছড়রা গুলি লেগেছে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে।
এরপর দুপুর সোয়া একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট জরুরি বৈঠক ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের সুমন-নাঈম গ্রুপ শাহপরান হলে অন্তত ৪০টি কক্ষ ভাঙচুর করে। একই সময়ে তারা দ্বিতীয় ছাত্র হলেও ভাঙচুর করে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুমন ও নাঈম গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ব্যাপক ভাঙচুর করে। একই সময়ে তাদের পক্ষের লোকজন দ্বিতীয় ছাত্র হলেও ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে হল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়- এর আগে হলগুলো ছাত্রলীগের উত্তম ও অঞ্জনের দখলে ছিল। সম্প্রতি পার্থকে সভাপতি করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন এ কমিটির বিরুদ্ধাচারণ করে সুমন-নাঈম গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা। এরই জের ধরে আজ বৃহস্পতিবার তারা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়।