রাজনগরের ‘ধনিয়া বড়ইউড়ি’ বিলের দখল নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০১৪, ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ
আব্দুর রহমান সোহেল ::
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরে ‘ধনিয়া বড়ইউড়ি’ জলমহালের (বিলের) দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষ যে কোন সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এনিয়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন উভয় পক্ষকে নিবৃত করেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পেয়ে ওই জলমহালে প্রবেশ ও মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলা প্রশাসন বিশ একরের নিচের ‘ধনিয়া বড়ইউড়ি’ জলমহালসহ কয়েকটি জলমহালের ১৪২১-১৪২৩ বাংলা সনের ইজারা বন্দোবস্তের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেশ কিছুদিন আগে। এতে কয়েকটি সমিতি অংশগ্রহণ করে। পরে গত ১২ নভেম্বর উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিংয়ে জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী ‘বৈশাখী যুব মৎসজীবী সমবায় সমিতিকে’ ৩ বছরের জন্য ইজারা বন্দোবস্ত দেয়া হয়। ইজারা মূল্য পরিশোধের পর গত ১৬ নভেম্বর রবিবার ইউনিয়ন ভূমি অফিস ১৫৮ নং স্মারকে দখল দেহী প্রদান করে। ওই সমিতির লোকজন গত ১৭ নভেম্বর দখল নিতে গেলে বিলের জমির মালিক দাবীদার ধুলিজুড়া গ্রামের আকবর আলী খেলা শাহবাজপুর গ্রামের কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়ে তাদের প্রতিহত করতে যান। এ সময় ‘ধনিয়া বড়ইউড়ি’ জলমহালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন ও রাজনগর থানার পুলিশ গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এব্যাপারে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইজারাদার। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান আগামী ২৩ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দিয়েছেন এবং জলমহালে প্রবেশ ও মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
বৈশাখী যুব মৎসজীবীসমিতির সম্পাদক নাছিম আহমদ বলেন, জলমহাল নীতিমালা অনুযায়ী আমি ইজারা বন্দোবস্ত নিয়েছি। সরকারিমূল্যও পরিশোধ করেছি। কিন্তু আকবর আলী খেলা জলমহালটি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টায় রয়েছেন।
আকবর আলী খেলা বলেন, ক্রয় সূত্রে জলমহালের ১৯ একরের মধ্যে ১০ একর জমির মালিক আমি। আমি আমার জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু একটি পক্ষ আমার জমির মাছ ও জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমি জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে গত ১৬ নভেম্বর স্বত্ব মামালা করেছি।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শুনানির জন্য সংশ্লিষ্টদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। অন্যতায় সরকারি ম্পদ রক্ষার্থে প্রয়োজিনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।