কুলাউড়ায় এসএসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ নভেম্বর ২০১৪, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
কুলাউড়ায় এসএসি পরীক্ষার ফরম পূরণে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন রশিদ ছাড়াই কৌশলে এ বাড়তি ফি আদায় করা হচ্ছে।
কুলাউড়া প্রতিনিধি ::
কুলাউড়ার বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে এস এ সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে ।
জানা গেছে, শিক্ষাবোর্ডের নিয়মানুযায়ী এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কেন্দ্র ও বোর্ড ফি বাবদ বিজ্ঞান বিভাগে ১হাজর ৫শত ২০ টাকা, মানবিক ও বাণিজ্যিক বিভাগে ১হাজার ৪শত ৯০ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ২ হাজার ৭০০শত এবং মানবিক ও বাণিজ্যিক বিভাগে ২ হাজার ৬০০শ টাকা করে প্রতিষ্ঠানটি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।
পরীক্ষার্থীরদের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে পিটিএ কমিটির সদস্যসহ অভিভাবকরা প্রতিবাদ করেছেন। এ বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪০ জন শিক্ষার্থী এসএসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন রশিদ ছাড়াই কৌশলে এ বাড়তি ফি আদায় করা হয়েছে।
অভিভাবকরা জানান এ বাড়তি ফি’র কারণে দরিদ্র অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হতে পারে । তারা জানান এর আগে শুধু মাত্র অধ্যক্ষের গাফলতির কারণে প্রবেশপত্র সংক্রান্ত জটিলতায় মাহিদুল ইসলাম ও হাসনা বেগম নামের দু’জন শিক্ষার্থী জেএস সির পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি।
গভর্নিং বডির দু’জন সদস্য জানান এর আগেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে এখন মামলা চলছে।
অভিযোগের সত্যতা জানতে বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাড়তি ফি ও অনান্য অভিযোগের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে তা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান জানান, গভর্নিং বডির সাথে অধ্যক্ষ এ বিষয়ে কোন আলোচনা করেননি। অধ্যক্ষ নিজের খেয়াল খুশি মত অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। অধ্যক্ষের স্বেচ্চারীতার কারণে প্রতিষ্ঠানটির অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে নানা সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে গজভাগ আহমদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে একই কায়দায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার ১শত ১০টাকা ও তিন হাজার ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।