সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও কাটেনি সিডরের ক্ষতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০১৪, ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সাত বছর পার হলেও, আক্রান্ত এলাকাগুলোর মানুষ সেই ক্ষয়ক্ষতি এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
পূর্বদিক ডেস্ক ::
প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ আঘাত হানার সাত বছর পার হলেও, আক্রান্ত এলাকাগুলোর মানুষ সেই ক্ষয়ক্ষতি এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
সিডরের দিন জলোচ্ছ্বাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলা।
সেখানকার সাউথখালী ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন বলছেন, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটগুলো অনেকটাই মেরামত করা হয়েছে। তবে দুই একটি স্থানে এখনো মেরামত দরকার। জাকির হোসেন বলেন, তিনি যে ওয়ার্ডের সদস্য, সিডরের আঘাতে শুধুমাত্র এই একটি এলাকা থেকে ৭৭৮জন মারা গেছেন। সেই ক্ষতি এখনো তারা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
এছাড়া আগে যেসব জমিতে ধান চাষ হতো, তার অনেক জমিই নদীতে ভেঙে গেছে। সুন্দরবনের উপর গ্রামের অনেকেই নির্ভরশীল ছিল। মাছ ধরা, গাছ কাটা ইত্যাদির পারমিট না পাওয়ায় তারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কাজের খোঁজে অনেকেই ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন শহরে চলে গিয়েছেন।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে কয়েক হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
সুন্দরবন এবং আশেপাশের কয়েকটি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেই সাথে ঐসব এলাকার বেড়িবাঁধসহ অসংখ্য স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।