বকেয়া বেতন-পদোন্নতীর দাবিতে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০১৪, ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গতকাল ১২ নভেম্বর বুধবার তারা এ কর্মবিরতি শুরু করেন।
এদিকে পদোন্নতিসহ কয়েকটি দাবিতে আরো চার শিক্ষক বুধবার প্রশাসনিক আটটি পদ ছেড়ে দেন। এ নিয়ে পদত্যাগকারী শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪ জন।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, তারা ১৫২ জন ১৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। বকেয়া বেতনের দাবিতে গতকাল বুধবার তারা ক্যাম্পাসে মিছিল করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের কাছে শেষ হয়। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে সব বিভাগে নির্ধারিত ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে সেকশন অফিসার ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা ১৮ মাস থেকে বেতন পাচ্ছি না। উপাচার্যের উপস্থিতিতে বেতন-ভাতার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। অবিলম্বে ঢাকা থেকে ফিরে উপাচার্য স্যারকেই এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে। উপাচার্য স্যার ফিরে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ইউনিয়নের সভাপতি আতিকুজ্জামান সুমন বলেন, ‘আমরা চাই উপাচার্য স্যার দ্রুত ঢাকা থেকে ফিরে সমস্যার সমাধান করুন। তবে একটি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নষ্ট করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঢাকায় রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্তের বাইরে আমার করার কিছু নেই।’
অপরদিকে পদোন্নতির দাবিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন আরো চার শিক্ষক। বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন, গ্রন্থাগার পরিচালক ও ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাঙ্কিং বিভাগের প্রধানের পদ ছেড়ে দিয়েছেন ড. মতিউর রহমান।
এছাড়া প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন, সাইবার সেন্টারের পরিচালক ও ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের প্রধানের পদ ছেড়েছেন ড. মো. তাজুল ইসলাম। অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রধানের পদ ছেড়েছেন আপেল মাহমুদ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহকারী প্রভোস্টের পদ ছেড়েছেন কমলেশ চন্দ্র রায়। এর আগে ৯ নভেম্বর আরো ১০ শিক্ষক ১৯ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
শিক্ষকদের দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোরশেদুল আলম।