চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ৩০২/২
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০১৪, ১:১৭ অপরাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক ::
টানা দ্বিতীয় টেস্টে শতক করলেন তামিম ইকবাল। দলে ফিরেই শতক পেয়েছেন ইমরুল কায়েস।রেকর্ড জুটি গড়ে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বিদায় নিলেও জিম্বাবুয়ের সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করানোর পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৩ রান। মুমিনুল হক ৪৬ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫ রানে ব্যাট করছেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেন তামিম ও ইমরুল।
এই সিরিজে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল মাত্র ২৮ রান। আগের চার ইনিংসে শুরুতেই উইকেট হারানো স্বাগতিকরা এবার প্রথম উইকেট হারায় তৃতীয় সেশনে।
ঢাকা ও খুলনা টেস্টে ব্যর্থ শামসুর রহমানের জায়গায় দলে ফিরেই জ্বলে উঠেন ইমরুল। খুলনা টেস্টে নিজেকে গুটিয়ে রাখা তামিম চট্টগ্রামে ফিরেন স্বরূপে। এই দুই জনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলে স্বাগতিকরা।
দিনের প্রথম সেশনে ৯১ ও দ্বিতীয় সেশনে ১২২ রান যোগ করেন তামিম-ইমরুল। দ্বিতীয় সেশনে শতকে পৌঁছান এই দুই ব্যাটসম্যানই। টানা দুই টেস্টে শতক পেলেন তামিম।
তৃতীয় সেশনে সিকান্দার রাজার বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে তামিম হ্যামিল্টন মাসাকাদজার চমৎকার ক্যাচে পরিণত হলে ভাঙে ৬৩.৫ ওভার স্থায়ী ২২৪ রানের জুটি। বাংলাদেশের এটাই প্রথম দুইশ’ রানের উদ্বোধনী জুটি।
১০৯ রান করা তামিমের ১৭১ বলের ইনিংসটি ১৪টি চার ও ১টি ছক্কা সমৃদ্ধ। চট্টগ্রামে এটি তামিমের প্রথম শতক, সব মিলিয়ে ষষ্ঠ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৬টি শতকের অধিকারী মোহাম্মদ আশরাফুলের পাশে বসলেন তামিম।
রেকর্ড জুটি ভেঙে তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি ইমরুলও। তবে বিদায় নেয়ার আগে মুমিনুলের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।
হ্যামিল্টনের বলে বদলি ফিল্ডার ভুসি সিবান্দার ক্যাচে পরিণত হলে শেষ হয় ইমরুলের ১৩০ রানের ইনিংসটি। এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট শতক। তার ২৫৭ বলের ইনিংসটি গড়া ১২টি চার ও ২টি ছক্কায়।
শতকে পৌছানোর পথে ভাগ্যেরও একটু সহায়তা পান ইমরুল। ব্যক্তিগত ১৯ রানে নাটসাই মুশাংওয়ের বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান তিনি।
জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন ও রাজা একটি করে উইকেট নেন।
ঢাকা ও খুলনায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৩০৩/২ (তামিম ১০৯, ইমরুল ১৩০, মুমিনুল ৪৬*, মাহমুদুল্লাহ ৫*; হ্যামিল্টন ১/৩, রাজা ১/৭৪)