সিলেট ও রংপুর বিভাগে পরিবহন ধর্মঘট চলছে
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ নভেম্বর ২০১৪, ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
সিলেট ও রংপুর বিভাগে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এম এ মজিদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তরের আট জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। আর অবৈধ পরিবহন বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে সিলেট বিভাগের চার জেলায়ও পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
রংপুরের যুবলীগ নেতা ইমরান হত্যার প্রতিবাদে এম এ মজিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে রংপুর বিভাগের আট জেলায় মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরানকে (৩৫) সোমবার গভীর রাতে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিদের বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ইমরানের সমর্থকরা।
এ সময় উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে নগরীর মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় তিনটি বাস ও একটি অটো রিকশাতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মজিদ বলেন, ‘ইমরান হত্যায় রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোনো সদস্য জড়িত নয়। আন্তঃকোন্দলে তিনি মারা গেছেন।’
এদিকে আমাদের হবিগঞ্জ সংবাদদাতা জানিয়েছেন, অবৈধ পরিবহন বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে সিলেট বিভাগের চার জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সিলেট বিভাগ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়।
অবৈধ পরিবহন বন্ধে এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সাত দফা দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এরপরও প্রশাসন কোনা পদক্ষেপ না নেওয়ায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান হবিগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সদস্য সচিব শফিকুর রহমান চৌধুরী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে বলেও জানান তিনি।
তাদের অন্যতম দাবিগুলো হচ্ছে- সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, হিউম্যান হলারের নতুন করে রেজিস্ট্রেশন প্রদান বন্ধ, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক অটোরিকশার সামনে ও পেছনে গ্রিল গেট সংযোগ, সিলেট বিভাগের সব জেলার মহাসড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন অবৈধ পরিবহন চলাচল বন্ধ ও স্কুল-কলেজের সামনে ছাড়া সব গতিরোধক অপসারণ।
এ ছাড়া পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুইজিশন বন্ধ করারও দাবি জানান তারা।