এমভি কর্ণফুলীর চালকের মৃতদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ নভেম্বর ২০১৪, ৭:২২ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
মেঘনা নদীতে লাইটার জাহাজ এমভি কর্ণফুলী-৫ এর নিখোঁজ চালক নূর নেওয়াজের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ১০ নভেম্বর সোমবার ভোরে মেঘনায় ভাসমান অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
নূর নেওয়াজের বাড়ি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায়। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ বাকিদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ৭ নভেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপজেলার মেঘনা নদীর চর আবদুল্লাহ এলাকায় কর্ণফুলী-৫ নামের জাহাজ থেকে চালক নূর নেওয়াজসহ সাতজন নিখোঁজ হন। পরের দিন সকালে কমলগরের বাতিরঘাট এলাকা থেকে হাজিরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সার ভর্তি জাহাজটি তাদের হেফজতে নেয়। এ সময় জাহাজের একটি কেবিন থেকে তালাবন্দী অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করা হয়। একই সময় স্থানীয় জেলেরা নদী থেকে আরও একজনকে উদ্ধার করে।
এদিকে উদ্ধার হওয়া মাহবুব ও জাহিদ জানান, গত শনিবার কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে সার নিয়ে বাঘাবাড়ীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা সার বোঝাই জাহাজটি রামগতির চর আবদুল্লাহ এলাকায় পৌঁছালে ওই জাহাজের লস্কর টিটু ও শামীম চালকের ওপর হামলা চালায়। আর তাদের দুইজনকে বন্দী করে রাখে।
মাহবুব ও জাহিদের ধারণা চালকসহ তিনজনকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় অন্যরা। এ ঘটনার পর জাহাজটির চার্টার মালিক আব্দুস সালাম জাহিদ গতকাল রোববার পাঁচজনকে আসামি করে কমলনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জাহাজের গ্রিজার পারভেজ, লস্কর টিটু, শামীম, বাবুর্চি (অজ্ঞাত) ও টিটুর এক অতিথিকে আসামি করা হয়।
এদিকে নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রামে জাহাজ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং কর্ণফুলী-৫ এ ডাকাতি হয়েছে দাবি করে নৌপথে চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা। এতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস আটকে যাওয়ার পাশাপাশি নৌপথে পণ্য পরিবহনও বন্ধ হয়ে যায়।
নৌ শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় রোববার সন্ধ্যায় লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকের পর প্রশাসনের আশ্বাসে নৌযান শ্রমিকদের একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও আরেক অংশ কর্মসূচিতে অনড় রয়েছে।