রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতিবঞ্চিত ১০ শিক্ষকের পদত্যাগ, ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ নভেম্বর ২০১৪, ৩:৩০ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পদোন্নতিবঞ্চিত ১০ শিক্ষক ১৯টি পদ থেকে আজ রোববার পদত্যাগ করায় উপাচার্য পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। শিক্ষকরা সহকারী রেজিস্ট্রারের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
পদত্যাগপত্রে শিক্ষকরা জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বন্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন। গত বছরের ৬ মে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ মাস আগে যোগদান করলেও তার আমলে অবকাঠামোগত দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি; বরং তার স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের জন্যই আগের বিভিন্ন উন্নয়নকাজ থমকে রয়েছে। কোষাধ্যক্ষের পদটি গত বছরের ১৭ আগস্ট খালি হয়ে গেলেও সে পদে কাউকে নিয়োগ না দিয়ে তিনি নিজেই এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া দুটি অনুষদের ডিন, ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক, কয়েকটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক পদেও উপাচার্য এককভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পদে থাকলেও তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে, প্রশাসনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী দায়িত্ব গ্রহণ করার ১৮ মাসে তিনি একবারও সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকদের পদোন্নতির জন্য আপগ্রেডেশনের ব্যবস্থা করেননি। দীর্ঘদিন থেকে পদোন্নতিবঞ্চিত এসব শিক্ষক গত ২৭ অক্টোবর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। গত ১ নভেম্বর ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যকে এসব বিষয়ে আলটিমেটাম দেন শিক্ষকরা। কিন্তু এর পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় আজ রোববার তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ আলমের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগকারী শিক্ষকরা হলেন ড. আর এম হাফিজুর রহমান সেলিম (পাঁচটি পদ থেকে পদত্যাগ), ড. সাইদুল হক (তিনটি পদ), ড. মোর্শেদ হোসেন (চারটি), শিক্ষক আলী রায়হান, তারিকুল ইসলাম, রফিউল আজম, জাহিদ হোসেন, শেখ মাজেদ, সাইদুর রহমান ও তানিয়া তোফাজ একটি করে পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এদিকে, শিক্ষকরা বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি বিভাগের অনার্স ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। এ ছাড়া আজ সোমবার পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের যে সময়সীমা ছিল, তা-ও দুই সপ্তাহ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী ১০ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৫ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী জানান, শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। এখনও তার কাছে কোনো কাগজ আসেনি