কুমিল্লায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ দুজন নিহত
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ নভেম্বর ২০১৪, ৩:১১ অপরাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
পুলিশের ভাষ্যমতে, আজ ৯ নভেম্বর রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচরে কোকাকোলা কারখানার সামনে ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়।
পুলিশ বলেছে, নিহত দুজন গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ হোসেনের পিস্তল কেড়ে নিয়ে তাঁর ওপর হামলার মূল হোতা জিরা সুমনের ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর’ সদস্য।
রাব্বী নগরের অশোকতলা খানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। জনি একই এলাকার সর্দার বাড়ির ছেলে।
গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় ডিবির এসআই সহিদুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলামের বাঁ হাতে গুলি লাগে। তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের ঝাউতলা এলাকায় ফিরোজ হোসেনের ওপর হামলা করে তাঁর পিস্তল নিয়ে যান শহরতলির দৌলতপুর এলাকার জিরা সুমন ও তাঁর বাহিনীর সদস্যরা।
ওসি বলেন, আজ সকালে পুলিশ খবর পায়, জিরা সুমন বাহিনীর সদস্যরা এসআই ফিরোজের ছিনতাই হওয়া পিস্তল নিয়ে পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেলে করে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় যাচ্ছিল। এর ভিত্তিতে পুলিশ পদুয়ার বাজার থেকে তাঁদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে আলেখারচর কোকাকোলা কারখানার সামনে পুলিশ তাঁদের ব্যারিকেড দেয়। এ সময় জিরা সুমন বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও শটগানের ১৬টি গুলি ও পিস্তলের ১০টি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাব্বী ইসলাম। গুরুতর আহত হন জনি। বিকেল চারটায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার দুই পায়ে ও মাথায় গুলি লেগেছিল।
পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ফেনীর সদর উপজেলার উত্তর বিরিঞ্জি মিজিবাড়ির শাহাদাত হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযানে নামে।
এদিকে পুলিশ এসআই ফিরোজ হোসেনের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া পিস্তল ছাড়াও বিদেশি দুটি পিস্তল ও চারটি গুলি এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে।
কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক চিন্ময় হাওলাদার বলেন, রাব্বীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। জনিকে আহত অবস্থায় আনা হয়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, এটাকে ক্রসফায়ার বলা ঠিক হবে না। গোলাগুলিতে রাব্বী মারা যান। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জনিও মারা যান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।