ফারুকী হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ দুই দিনের রিমান্ডে
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ নভেম্বর ২০১৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
টেলিভিশনে ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আহলে হাদিসের সাবেক সভাপতি মোজাফফর বিন মহসিনকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুকী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতেরও কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। আর এই সংগঠনটির সঙ্গে আহলে হাদিসের মতাদর্শগত ‘চরম দ্বন্দ্ব’ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মহসিনের নির্দেশে তার সহযোগীরাই ফারুকীকে হত্যা করেছে।
ফারুকী হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর অভিযোগে শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মহসিনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, মোজাফফর বিন মহসিন (৪০) সম্প্রতি কাজ করছিলেন উগ্র ধর্মীয় সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের হয়ে।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ রোববার মহসিনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
অন্যদিকে এর বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন মহসিনের আইনজীবী মো. আবদুল মতিন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম তারেক মইনুল ইসলাম ভূইয়া জামিন নাকচ করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গত ২৭ অগাস্ট রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় গলা কেটে হত্যা করা হয়। তার পরিবারের দাবি, সুন্নিবাদী এই নেতাকে হত্যার পেছনে কোনও উগ্রপন্থি সংগঠন জড়িত।
হত্যার রাতেই ফারুকীর ছেলে ফয়সাল ফারুকী অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। পরে ইসলামী ফ্রন্টের অনুসারী ইসলামী ছাত্রসেনার ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার আরেকটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে দুটি মামলার তদন্তই একসঙ্গে করছে পুলিশ।
পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মহসিনের নির্দেশে তার সহযোগীরাই বাসয় ঢুকে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ফারুকীকে হত্যা করে।
“আহলে হদিসের সাবেক সভাপতি মহসিন পিস টেলিভিশনের ইসলামী অনুষ্ঠানের বক্তা। ফারুকীর সঙ্গে তার আদর্শগত বিরোধ ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই হত্যায় সংশ্লিষ্ট বাকিদের সন্ধান পাওয়া যাবে।”
অন্যদিকে মহসিনকে তিন দিন আগে আটক করা হয়েছে দাবি করে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন তার আইনজীবী আবদুল মতিন।
মহসিনকে রিমান্ডে পাঠানোর বিরোধিতা করে বিচারককে তিনি বলেন, “পুলিশকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলেন। আপনি আল্লাহর দোয়া পাবেন।”
ইসলামী ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক তুষার যে মামলাটি দায়ের করেছেন, তাতে ছয় টিভি উপস্থাপককে আসামি করা হলেও সেখানে মহসিনের নাম ছিল না।