এখনও বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ নভেম্বর ২০১৪, ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বাংলাদেশের কক্সবাজারে এখনও নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে আসছে। তাদের কয়েকজন বলেছেন, জীবনের নিরাপত্তার জন্য তারা বাংলাদেশে এসেছেন।
তবে স্থানীয় প্রশাসন বলেছে, রোহিঙ্গারা এখন দলে দলে আসছে না। মাঝেমধ্যে দু’একটি পরিবারের অনুপ্রবেশ ঘটছে।আগের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম বলেই প্রশাসন মনে করছে। এরপরও অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও প্রশাসন বলছে।
বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক আবু জার আল জাহিদ জানান, নিয়মিতভাবে না হলেও রোহিঙ্গারা এখনও আসে। তবে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
নাফ নদীর সীমান্তের মুল অংশে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির ৪২ব্যাটালিয়ন কাজ করে। এই ব্যাটালিয়নের পরিচালক আবু জার আল জাহিদ জানান, “রোহিঙ্গারা মূলত চিকিৎসা করানোর জন্যে বাংলাদেশে আসে। এছাড়া নাফ নদীর তীরে দুই পাশে আত্নীয় স্বজন আছে, তাদের কাছেও আসে। অনেক সময় তিন বা সাতদিনের ভিসা নিয়ে এসে থেকে যায়।” বিজিবির কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেছেন,নিয়মিতভাবে না হলেও রোহিঙ্গারা এখনও আসে। তবে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এছাড়া গত দু’বছরের তুলনায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা অনেক কম।
স্থানীয় পুলিশ মনে করে, চিকিৎসার পাশাপাশি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গারা তিন বা সাতদিনের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে একটা বড় অংশ থেকে যাচ্ছে। আর অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টা কমবেশি সবসময়ই থাকছে। টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তার হোসেন জানান, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নতুনরা এসে অনিবন্ধনকৃত শিবিরে বা এর বাইরে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গা আত্নীয়দের কাছে প্রথমে আশ্রয় নিচ্ছেন। এরপর নিজের পথ খুঁজে নিচ্ছেন। তবে সপ্তাহখানেক আগে অবৈধভাবে হলেও শেষপর্যন্ত রুহুল আমীন সপরিবারে টেকনাফে যে এসেছেন।এখানে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কোন চিন্তা তাঁকে কাবু করতে পারেনি।
তিনি মনে করেন, কোন একটা কাজ তাঁর মিলবে এবং এখানে কষ্ট হলেও তাদের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে।
যদিও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা এখন অনেক কম বলে মনে করছেন।তবে সঠিক কোন পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।