পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘটে অচল বাংলাদেশের বন্দর
প্রকাশিত হয়েছে : ৯ নভেম্বর ২০১৪, ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
বাংলাদেশে নৌপথে নিরাপত্তার দাবিতে সকল পণ্যবাহী নৌযানে ধর্মঘট পালন করছে নৌযান শ্রমিকেরা।
গভীর সমুদ্রের জাহাজ থেকে লাইটারেজে করে পণ্য খালাশ বন্ধ থাকায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরসহ বাংলাদেশের সকল নৌবন্দরের পণ্য আনা-নেয়া।
গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাঘাবাড়ি যাবার পথে লক্ষ্মীপুরের কাছে একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডাকাতি হলে সাতজন নিঁখোজ হয়, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার ভোর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকেরা। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ডাকাতির কোন আলামত তারা পাননি।
বাংলাদেশ নৌ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলছেন, নৌপথে ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির ঘটনা একদম নিয়মতিই হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, “ডাকাত আছে, চাঁদাবাজিও করে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায়ই। বিভিন্ন এলাকায় যেহেতু দিনে-দুপুরে ডাকাতি হয়, তখন রাজনৈতিক প্রভাব থাকারও সম্ভাবনা আছে।”
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন পণ্য পরিবহনের মোট ৩৫ শতাংশই হয় নৌপথে। যে কারণে এ কর্মবিরতি দীর্ঘায়িত হলে সংকট বেশ বাড়বে বলে আশংকা করছেন অনেকেই।
তবে এখনো পর্যন্ত এনিয়ে সরকারের সাথে কোন আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ নৌ শ্রমিক ফেডারেশন। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলছেন, এ বিষয়ে তারা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন ঘটনা তদন্ত করে নিঁখোজ শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্যে।
এদিকে সাতজন নিঁখোজ হবার পর সারবাহী নৌযানটি পাওয়া যায় লক্ষ্মীপুরের রামগতির কাছে ।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মিজান শফিউর রহমান বলছেন, ঐ জাহাজে দশজন শ্রমিক ছিলো যাদের তিনজনকে তারা তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করেছেন এবং সাতজন নিঁখোজ রয়েছেন।
তবে সেখানে ডাকাতি ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন না।