ছত্রাকের কারণে বিলুপ্তির পথে ইউরোপের উভচর ও সরীসৃপ প্রাণি
প্রকাশিত হয়েছে : ৮ নভেম্বর ২০১৪, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক ::
এশিয়ার উভচর ও সরীসৃপ প্রাণীদের দেহে বাট্রাকোখৈট্রিয়ুম ছত্রাকের আক্রমণ যেমন বেশি, তেমনি তাদের উপযোজন ক্ষমতাও বেশি। কিন্তু ইউরোপে উভচর ও সরীসৃপদের এ ক্ষমতা কম থাকায় তারা আজ বিলুপ্তির পথে।
বিধ্বংসী ছত্রাক
ছত্রাক সংক্রমিত হলে উভচরের ত্বকে পচন ধরে যায়। পুরো দেহে তা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে মনে হয় যেন ছত্রাকটি প্রাণীটিকে খেয়ে ফেলছে।
বিবর্তনীয় প্রতিরোধ
এশিয়ার অনেক উভচর এবং গোসাপের দেহে ছত্রাকের সংক্রমণ খুব স্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু সেখানে সংক্রমণের পর উভচররা অসুস্থ হয় না। কারণ এশিয়ার এসব প্রাণীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশি। তবে পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তনের কারণে ইউরোপের উভচর প্রাণীরা ছত্রাক সংক্রমণের শিকার হলেও প্রতিরোধ গড়তে তাদের বেশ সময় লাগে।
উভচরদের জন্য বিপজ্জনক
২০১০ সালে নেদারল্যান্ডস-এ ছত্রাক উভচরদের মহামারির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া বেলজিয়ামের বিজ্ঞানীরা এমন ৩৫টি প্রজাতি উভচরের দেহে ছত্রাক সংক্রমণের লক্ষণ দেখেন, যেগুলোর সব ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার প্রাণী।
কল্পনাতীত পরিস্থিতি
আল্পসে যেসব উভচর থাকে তারা এসব বাট্রাকোখৈট্রিয়ুম ছত্রাকে একেবারেই অসহায়। বেলজিয়ামের গবেষকদের বিশ্বাস এরা খুব দ্রুত ছত্রাকের সংক্রমণে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাঁরা বলছেন, পরিস্থিতি যতটা খারাপ ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও ভয়াবহ।
ব্যাঙদের জন্য হুমকি
ব্যাঙদের সাধারণত ছত্রাক প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু বাট্রাকোখৈট্রিয়ুম প্রতিরোধের ক্ষমতা তাদেরও কম। তাই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলগুলোতে এই ছত্রাকের আক্রমণে ব্যাঙদের প্রজনন হার কমে আসছে।
বিলুপ্তির পথে
গত কয়েক বছরে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে দুইশরও বেশি উভচর প্রজাতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের মৃত্যুর কারণ ছত্রাক। তবে অন্যান্য কারণও রয়েছে। যেহেতু উভচররা তাদের ত্বকের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়, ফলে পরিবেশ দূষণ এদের হুমকির অন্যতম কারণ।