মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করল পরিবারের সদস্যরা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫ নভেম্বর ২০১৪, ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
পরিবারের দশ সদস্য আজ ৫ নভেম্বর বুধবার সকাল ১০টার কিছুক্ষণ আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর ভেতরে ঢুকে আধা ঘণ্টা কামারুজ্জামানের সঙ্গে সময় কাটান তারা।
জ্যেষ্ঠ কারাধ্যক্ষ ফরমান আলী জানান, “নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসাবে পরিবারের সদস্যরা দেখা করেছেন। তারা সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট থেকে সকাল ১১টা ৮ পর্যন্ত ভেতরে ছিলেন।”
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন স্ত্রী নুরুন্নাহার, চার ছেলে হাসান ইকবাল, আহমেদ হাসান, ইকরাম হাসান, হাসান ঈমাম, মেয়ে আফিয়া নূর, ভাই নাজিরুজ্জামান ও আবদুল্লাহ আল মাহাদী, বোন মোহসীনা বেগম ও ভাগ্নে আবদুল আলিম।
কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না জানতে চাইলে তার ছেলে হাসান ইকবাল বলেন, “এটা পরের বিষয়। রিভিউ এর পরে বাবা ভাববেন। এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।”
একাত্তরে আল বদরের ময়মনসিংহ জেলা শাখা প্রধান কামারুজ্জামানকে গত বছর ৯ মে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার আপিলের রায়ে গত সোমবার ফাঁসির আদেশই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত।
গত সোমবার কামারুজ্জামানের আপিলের রায়ে মৃতুদণ্ড বহাল রাখার পর মঙ্গলবার তাকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, এখন আপিলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে তা ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সেটি হাতে পেলে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে ট্রাইব্যুনাল। এরপর তা কার্যকর করবে সরকার। এক্ষেত্রে সরকার চাইলে কারাবিধিও (জেল কোড) অনুসরণ করতে পারে।
কারাবিধি অনুযায়ী প্রত্যেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ পাবেন। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর জেল সুপার তা বন্দিকে জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার বিষয়ে তার মত চাইবেন। সাত দিনের মধ্যে তাকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম রায়ের দিন জানান, “পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর তা জেলা প্রশাসকের কাছে যাবে। কারা কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে রায় কার্যকর করবে।