কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ায় বিদ্যুৎ দেয়ার নামে পল্লী বিদ্যুৎ ঠিকাদারের গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২ নভেম্বর ২০১৪, ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ
জয়নাল আবেদীন ::
সরকারি অর্থায়নে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কমলগঞ্জ ও কুলাউড়ার একাংশের গ্রাহকদের কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনস্থ কমলগঞ্জ উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলা একাংশের বিদ্যুৎবিহীন বিভিন্ন এলাকায় গত অর্থবছরে ৩০ দশমিক ৫১ কি.মি বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন করা হয়। চলতি অর্থ বছরে ৩৫ দশমিক ৮ কি.মি. এলাকায় সরকারিভাবে নতুন লাইন স্থাপনে কার্যক্রম চলছে। সরকারি হিসাবে প্রতি কি.মি. ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত পল্লী বিদ্যুতের নতুন লাইন নির্মাণে খুঁটি স্থাপন, বৈদ্যুতিক তার টানানোর অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদার রাখাল বাবু তার নির্দিষ্ট লোকদের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রাহকরা বলেন, বিভিন্ন স্থানে খুঁটি স্থাপনে সমস্যার কথা বলে দুই, তিন হাজার আর প্রবাসী পরিবার প্রতি দশ, পনের, বিশ হাজার হারে টাকা আদায় করে নিয়েছেন ঠিকাদার। এ ছাড়া প্রথম দফা সার্ভের সময়ে গ্রাহক প্রতি ৫শ’ থেকে ১ হাজার, তৃতীয় দফা খুঁটি আনার জন্য ৫শ’ থেকে ১ হাজার, বৈদ্যুতিক তারের জন্য ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা হারে উত্তোলন করে নিয়েছেন ঠিকাদার রাখাল।
তবে অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদার রাখাল বাবু বলেন, তিনিও কারো কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেননি। স্বেচ্ছায় কোন কোন গ্রাহক ৫০/১০০ টাকা হারে গাড়ি চালককে প্রদান করেছে।