মহাকাশের গভীরে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০১৪, ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক ::
চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর মানুষ এখনো মহাকাশের আরও গভীরে যেতে পারেনি। ইউরোপীয় এটিভি মহাকাশযানকে সেই লক্ষ্যেই আরও উন্নত করে তোলা হচ্ছে। অ্যামেরিকার সঙ্গে সহযোগিতায় অদূর ভবিষ্যতে হয়ত চাঁদেই এক ঘাঁটি তৈরি হবে।
ইউরোপীয় পরিবহন মহাকাশযানগুলি এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০ টন জিনিসপত্র আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠিয়েছে। ইউরোপে এখনো পর্যন্ত এটিভি-ই সবচেয়ে জটিল মহাকাশযান। এবার তার দিন ফুরিয়ে আসছে। তাতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি নতুন কাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এটিভি-যানে উচ্চ প্রযুক্তির ন্যাভিগেশন সিস্টেম রয়েছে। এর সাহায্যে সে তার নিজস্ব গতিপথ স্থির করতে পারে।
এমনকি আইএসএস-এর সঙ্গে ডকিং-এর জটিল প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা ও তা কার্যকরও করতে পারে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার টোমাস রাইটার বলেন, ‘‘এটিভি ৫-এ দুটি নতুন অপটিকাল সেন্সর রয়েছে, যা ভবিষ্যতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। শুধু স্পেস স্টেশনে ডকিং-এর জন্যই এর প্রয়োজন হবে না। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য বস্তুর কাছে বা তার সঙ্গে একতরফাভাবে যুক্ত হওয়া যাবে।”
যেমন কক্ষপথ থেকে বিক্ষিপ্ত স্যাটেলাইট। মহাকাশে আবর্জনা এড়াতে এটিভি-৫ সেটির নিয়ন্ত্রিত পতন ঘটাতে পারবে। এটিভি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ইউরোপীয়রা মহাকাশের গভীরে মানুষ পাঠাতে পারবে। তার ইঞ্জিন ও এভিয়নিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি করে নাসার ওরিয়ন ক্যাপসুল-এর জন্য একটি মডিউল তৈরি করা হচ্ছে। অ্যামেরিকানরা অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণুপুঞ্জে যেতে অথবা চাঁদে একটা ঘাঁটি তৈরি করতে চায় কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। মঙ্গলগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতির জন্য সেখানে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা চালানো যেতে পারে।