আজ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০১৪, ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
আজ ২৮ অক্টোবর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদত বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনের ভোর বেলা কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই সীমান্ত চৌকিতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন তিনি। তাঁর রক্তে সিক্ত হয়েছিল ধলই সীমান্ত। তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগ নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়ায় তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামের আক্কাছ আলী মন্ডল ও কায়ছুন্নেছার সাহসী সন্তান ছিলেন হামিদুর রহমান।
২৪ অক্টোবর ভোর থেকে ২৮ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত কমলগঞ্জের ধলই সীমান্তে ইপিআর, পরবর্তীতে বিডিআর (বর্তমান বিজিবির) ফাঁড়ির সামনে থাকা পাক সেনাদের সাথে তুমুল যুদ্ধে শক্র দলের অধিনায়কসহ বেশ কয়েকজন সৈন্য প্রাণ হারান। এমন সময় শক্র পক্ষের একটি বুলেট হামিদুর রহমানের কপালে বিদ্ধ হলে মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিডিআর এর উদ্যোগে সর্ব প্রথম ধলই সীমান্ত চৌকির পাশে নির্মাণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মরণী।
২০০৬ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১০ শতাংশ জায়গার উপর সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ নির্মাণ করে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিস্তম্ভ।
এ ছাড়া কমলগঞ্জের ভানুগাছ-মাধবপুর সড়কটির নামকরণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান সড়ক হিসেবে। ২০০৭ সালে ধলই বিওপির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বীরশ্রেষ্ট শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান সীমান্ত ফাঁড়ি। হামিদুর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার তার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।