কমলগঞ্জে কালীপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন চা বাগানে জুয়ার উৎসব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০১৪, ১২:২৯ অপরাহ্ণ
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগান সমূহে কালীপূজাকে কেন্দ্র করে তিন দিন ব্যাপী জুয়ার উৎসব শুরু হয়েছে। এ নিয়ে চা বাগানের শিশু, কিশোররা হাড়ি পাতিল বিক্রি করেও জুয়াতে মেতে উঠেছে। তাই দরিদ্র অসহায় চা শ্রমিকরা টাকা ঢেলে নিঃস্ব হচ্ছেন। এ জুয়াতে পেশাদার জুয়ারিরা চা বাগানের নিরিহ শ্রমিকদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আজ ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কমলগঞ্জের কয়েকটি চা বাগান ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব কালী পূজাকে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চা বাগানে প্রকাশ্যে রাস্তায়, কিংবা মাঠে তিন দিনব্যাপী জুয়ার আসর জমে উঠেছে। চা বাগানের শিশু, কিশোর, যুবক এবং বস্তির পেশাদার জুয়ারি, স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকরা সকাল থেকেই জুয়ার আসরে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় এই উৎসবকে চা বাগানগুলোতে জুয়ার আসরে পরিণত করা হয়েছে। এ সব জুয়ার অধিকাংশ আসরই নিয়ন্ত্রণ করছেন বস্তির পেশাদার জুয়াড়িরা।
প্রকাশ্য জুয়ার বোর্ডে টাকার খেলায় দরিদ্র পরিবারের চা শ্রমিক সন্তানরা ঘরের হাড়ি, পাতিল যা আছে তাই বিক্রি করে লাভের আশায় আসরে টাকা ঢেলে নিঃস্ব হচ্ছে। এই সুযোগে স্থানীয় পেশাদার জুয়াড়িরা চা বাগান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান, চা শ্রমিক সন্তান পুষ্প কুমার কানুসহ স্থানীয় সচেতন শ্রমিকরা বলেন, জনশ্রুতি থেকেই প্রতি বছর কালী পূজার সময়ে চা বাগান সমুহে জুয়ার আসর বসে। তবে অবৈধ এ জুয়ার আসরে চা বাগানের সাধারণ শ্রমিক ও যুব সমাজ নিঃস্ব হচ্ছে। এটি নিয়ন্ত্রণ হওয়া উচিত বলে তাঁরা জানান
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, কালী পূজাকে কেন্দ্র করে চা বাগানের শ্রমিকরা এটি তাদের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে যায়। তবে এটি মোটেই উচিত নয়। তিনি বলেন, বিভিন্ন চা বাগানে জুয়ার আসর নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ সদস্য না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তবে পুলিশ এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে খতিয়ে দেখছেন।