আফগানিস্তানে আবারো বাড়ছে অবৈধ পপি চাষ
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০১৪, ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী তৎপরতা সত্বেও ২০১৩ সালে আফগানিস্তানে সর্বোচ্চ পরিমাণ আফিম উৎপাদনকারী পপির চাষ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদন সূত্রে মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
আফগানিস্তানে আফিমের চাষ বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ১৩ বছর ধরে ৭৬০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষ মহাপরিদর্শক জন সোপকো।
আফগান কৃষকদের জীবিকা পরিবর্তন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের কাজে সমর্থন দেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থা এসব অর্থের যোগান দিয়েছে। এসব সত্বেও ২০১৩ সালে আফগানিস্তানের ২০ লাখ ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আফিম চাষ করা হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০১৩ সালে আগের বছর থেকে ৫০ শতাংশ বেশি আফিম উৎপাদিত হয়েছে, আর উৎপাদিত ফসলের বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি ডলার।
এ বিষয়ে মহাপরিদর্শক সোপকো বলেছেন, “আফগানিস্তানের গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়ায় এবং পপি ক্ষেতগুলো ধ্বংস করার তৎপরতা কমে যাওয়ায় ২০১৪ সালে চাষ আরো বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।”
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশকে ‘পপিমুক্ত’ ঘোষণা দেয়া হলেও সেখানে আবার পপি চাষ করা হচ্ছে।
পপি চাষের এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধির পেছনে গভীর নলকূপ ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। একদশকে গভীর নলকূপের সাহায্যে মরুভূমির ২ লাখ হেক্টর এলাকাকে কৃষি জমিতে পরিণত করা সম্ভব হয়েছে। এসব জমির অধিকাংশই আফিম উৎপাদনের জন্য পপি চাষে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্বে উৎপাদিত মোট আফিমের ৮০ ভাগই আফগানিস্তানে উৎপন্ন হয়। উৎপাদিত আফিম বিক্রির অর্থ দেশটিতে দুর্নীতিচক্র, অপরাধীচক্র বজায় রাখা ও তালেবান গোষ্ঠীর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তহবিল যোগানে ব্যবহৃত হয়।