সিলেটে ছাত্র-শ্রমিক সংঘর্ষে আহত ৩০
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০১৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
সিলেট সংবাদদাতা ::
সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের গাড়ি ভাংচুরের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে শাহজালাল সিটি কলেজ ও জালালাবাদ কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে । এক পর্যায়ে শাহজালাল সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসের সামনে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে রাখা ৫/৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় বাধা দিতে পরিবহন শ্রমিকরা ছাত্রদের উপর চড়াও হয়। ফলে পরিবহন শ্রমিকদের সাথে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছাত্রদের ধাওয়া করে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় এবং সেখানে তারা কলেজের দরজা জানালার গ্লাসসহ আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় শ্রমিকরা কয়েকজ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে মারধরও করে। এ সময় জুবায়ের, সাজু, নাঈম, জাকারিয়া, আবু তাহের, রাকু চন্দ্র দাস, মুস্তফা, সোহাগ নামের ৮ ছাত্র আহত হয়। আহতদের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাজোয়া যান নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ১৯জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
এ দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। তারা রাস্তার পাশে লাগানো সিটি কলেজের কয়েকটি সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ কোতোয়ালী ও শাহপরান থানার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ জানান। তাতে কাজ না হওয়ায় বেলা ১টার দিকে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় ১০ জন শ্রমিককে আটক করা হয়।
শ্রমিক নেতা মাহবুব হোসেন জানান- সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন পর পর মারামারিতে লিপ্ত হয়। আজ তারা কলেজ ক্যাম্পাসে মারামারি করে বের হয়ে এসে আমাদের স্ট্যান্ডের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা তাদেরকে প্রতিরোধ করেছি।
শাহজালাল সিটি কলেজের প্রভাষক অহী আলম রেজা জানান- মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা প্রায়ই কলেজের ছাত্রীদের উত্যক্ত করত। আজও তারা ছাত্রীদের উত্যক্ত করলে কয়েকজন ছাত্র গিয়ে তাদের কাছে বিষয়টি বুঝতে চায়। এরপরই শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজের ছাত্রদের উপর হামলা চালায়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান, ছাত্র-শ্রমিকদের সংঘর্ষের জের ধরে পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।