কমলগঞ্জে গ্যাস স্টেশন বন্ধে সিএনজি অটোরিক্সায় দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধি ॥ চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০১৪, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বড়চেগ এলাকায় ত্রুটিজনিত কারণে গ্যাস স্টেশন বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা দূর থেকে গ্যাস আনার অজুহাতে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ তোলেছেন।
জয়নাল আবেদীন ::
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বড়চেগ এলাকায় ত্রুটিজনিত কারণে গ্যাস স্টেশন সিটি ওভারসিজ বন্ধ থাকায় সিএনজি অটোরিক্সায় দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও যাত্রী সাধারণ। গত এক সপ্তাহ ধরে গ্যাস পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা দূর থেকে গ্যাস আনার অজুহাতে এই ভাড়া আদায় করছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ তোলেছেন।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর অথবা কুলাউড়া থেকে যানবাহনে গ্যাস লোড করে যথারীতি যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতেন। গত দুই বছর পূর্বে শমশেরনগর বড়চেগ এলাকায় সিটি ওভারসিজ নামে একটি সিএনজি স্টেশন স্থাপনের পর যানবাহন চালকদের জন্য গাড়িতে গ্যাস লোড সহজতর হয়ে উঠে। কিন্তু হঠাৎ করে সিএনজি স্টেশনের ম্যাটেরিয়েলস ভেঙে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে গ্যাস পাম্প বন্ধ হয়ে যায়। এর অজুহাতে কমলগঞ্জ-শমশেরনগর থেকে বিভিন্ন রুটে সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছেন।
সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রী আফজল আলী, আব্দুর রহিম, সিকন্দর আলী, আবলুস মিয়াসহ স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শমশেরনগর-উপজেলা সড়কে ১০ টাকার ভাড়ার স্থলে ২০ টাকা, শমশেরনগর-পীরেরবাজার সড়কে ১৫ টাকার স্থলে ২০ টাকা, পতনউষার, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ফলে বাড়তি ভাড়া গুণতে গিয়ে চালকদের সাথে যাত্রীরা বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন। এতে নিম্ন আয়ের লোক ও স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বাড়তি ভাড়া আদায় বিষয়ে পীরেরবাজার সিএনজি চালক সমিতির সম্পাদক রানু মিয়া ও সিএনজি (অটোরিক্সা) চালক সুমন আহমদ বলেন, সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর দূরান্ত থেকে গ্যাস আনতে হয়। এতে কেউ কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করলেও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে নিষেধ করেছেন। শমশেরনগর সিএনজি স্টেশন সিটি ওভারসিজ এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কেয়ারটেকার মো. আব্দুল গফুর বলেন, পূজা ও ঈদের সময়ে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশনের ম্যাটেরিয়েলস ভেঙে যাওয়ায় গ্যাস পাম্প বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে আরো দু’তিন দিনের মধ্যে মেরামত করে যথারীতি যানবাহন সমূহে গ্যাস সরবরাহ করা হবে।