ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে অছাত্র এবং সন্ত্রাসীরা এবারও বহাল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০১৪, ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবারও স্থান দেওয়া হয়েছে অছাত্র ও বয়স্কদের। একই সঙ্গে রয়েছে হত্যা মামলার আসামি, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও বিভিন্ন পেশাজীবীও রয়েছেন।
পূর্বদিক ডেস্ক ::
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে এবারও স্থান দেওয়া হয়েছে অছাত্র ও বয়স্কদের। একই সঙ্গে রয়েছে হত্যা মামলার আসামি, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও বিভিন্ন পেশাজীবীও রয়েছেন। বিবাহিতদের সংখ্যাও অনেক, যাদের একাধিক সন্তান রয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত এমন ব্যক্তিও রয়েছেন। অপরিচিত অনেকেই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটি বিশ্লেষণ করে এ রকম চিত্র পাওয়া গেছে। যদিও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াঘোষণা দিয়েছিলেন, বিবাহিত ও বুড়োদের দিয়ে আর ছাত্রদলের কমিটি করা হবে না। কিন্তু সে ঘোষণা রাখতে পারেননি তিনি।
এদিকে ঘোষণার পরদিনই নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা ও তাদের অনুসারীরা। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে গতকাল রাতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। নয়াপল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরেও বিক্ষোভ মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
ঘোষিত কমিটি ২০১ সদস্যের। তবে মঙ্গলবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ব্যাপারে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী গতকাল বুধবার বলেন, আগের কমিটিগুলোর তুলনায় অন্তত ১০ বছর কম বয়সী নেতাদেরই এতে রাখা হয়েছে। ছাত্রদলের নতুন কমিটি সবখানে প্রশংসা পাচ্ছে। বিবাহিত ও বুড়োদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি মন্তব্য করেন, এইচএসসির পর যে কেউ বিয়ে করতেই পারেন। পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়। যোগ্যতা অনুসারেই পদ বণ্টন করা হয়েছে।ছাত্রদলের রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় না থাকা নেতাদের বড় একটি অংশকে নতুন কমিটিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পদবঞ্চিত নেতারা। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফুঁসছেন তারা। তাদের দাবি, তারা রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় থাকা সত্ত্বেও কমিটিতে যথাযথ পদ-পদবি পাননি। কেউ আবার কোনো পদই পাননি। যে কোনো সময় এ ক্ষোভ আরও বড় বিস্ফোরণে রূপ নেবে বলে পদবঞ্চিতদের অনেকে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও বিদায়ী সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নতুন কমিটি হয়েছে। তাদের তৈরি করা কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে খালেদা জিয়ার কয়েক দফা বৈঠক ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।ছাত্রদলের সাবেক কমিটিতে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়সী নেতা ছিলেন। এবারের কমিটিতে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে কেউ নেই। তবে অনেকেই বিবাহিত, একাধিক সন্তানের বাবা ও পেশাজীবী। কমিটিতে স্থান পাওয়া অধিকাংশের ছাত্রত্ব নেই। অনেকে ছাত্র পরিচয় দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে আছেন। তারা আদু ভাই হিসেবে পরিচিত।
জানা যায়, নতুন সভাপতি রাজিব আহসান সাবেক সভাপতি টুকুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৪-৯৫ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র। রাজিবের গ্রামের বাড়ি বরিশাল। অবিবাহিত এ ছাত্রনেতার বয়স অন্তত ৩৭ বছর। এর আগে কবি জসীমউদ্দীন হলের সভাপতি, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারোর সময়ে ছিলেন নিষ্ক্রিয়। রাজিবের বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনের সময়ও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে। রাজিবের পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আওয়ামী লীগ করেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।নতুন সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক ও বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আকরাম বিদায়ী সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের অনুসারী। তাদের দু’জনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে। অন্তত ৩৫ বছর বয়স্ক আকরাম এখনও অবিবাহিত। টুকু-আলিম কমিটির সময় বিদ্রোহ করার কারণে বহিষ্কৃত হন। আকরামের বিরুদ্ধে গত মেয়াদে কমিটি নিয়ে অর্থ-বাণিজ্য করার অভিযোগও রয়েছে। এসব সত্ত্বেও হাওয়া ভবনের সাবেক দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির অনুরোধে তাকে গুরুত্বপূর্ণ এ পদে রাখা হয় বলে জানা গেছে।
সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনের বিরোধিতায় শেষ মুহূর্তে ছিটকে পড়েন সিনিয়র সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন। একই সংসদীয় আসন হওয়ায় আঞ্চলিক রাজনীতিতে বিরোধ আছে নোয়াখালী-চাটখিলের এ দুই বাসিন্দার মধ্যে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়া মামুন শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন বহু আগে। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর অনুসারী মামুন গত কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী অন্তত ৩৬ বছর বয়সী এই ছাত্রনেতা এখনও অবিবাহিত।যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় অনেক দিন তিনি কোনো পদ পাননি। টুকু-আলিম কমিটির সময়ে তাকে ঢাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল। টুকুর অনুসারী আসাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী। ঝিনাইদহের অধিবাসী আসাদ গত কমিটির সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখনও অবিবাহিত। বয়স অন্তত ৩৪ বছর।নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার ছাত্রত্ব শেষ করেছেন বহু আগে। বয়সে বর্তমান কমিটিতে সবার সিনিয়র ইসহাক সরকার বিবাহিত। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা ইসহাক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি। সভাপতি রাজিবের চেয়ে সিনিয়র ইসহাকের বয়স অন্তত ৩৮ বছর বলে জানা গেছে।
নতুন সহসভাপতি মহিদুল হাসান হিরু শুরুতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ধুনট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেও করতেন ছাত্রলীগ। ২০০১ সালে ছাত্রদলের মিছিলে তার নেতৃত্বে হামলা চালানোর ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। হিরু ঢাবি শাখার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বিষয়টি সামনে এসেছিল। টুকুর অনুসারী হিরু ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষে উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিজেকে ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ঢাবি শাখার সভাপতি হন তিনি। বিবাহিত কি-না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।সহসভাপতি এজমাল হোসেন পাইলট বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ১৯৯৭-৯৮ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ইতিমধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া পাইলটের বয়স অন্তত ৩৪ বছর।প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম হিমেল ঢাবির এসএম হলে প্রাইভেট মেডিকেলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ ফারুকী হীরা ক্যাম্পাসে থাকতে মাদক ব্যবসা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পাঠাগার সম্পাদক মেহেদী হাসান এক-এগারোর সময় সংস্কারপন্থি ছিলেন। সহসভাপতি নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ বুয়েটের সনি হত্যা মামলার আসামি। বিবাহিত নিয়াজ গত কমিটিতে সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সহসভাপতি ইসতিয়াক নাসির ইভ টিজিং মামলার আসামি।
দুর্নীতিবাজ, ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীরা :ছাত্রদলের নতুন কমিটির বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে কমিটি-বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ কমিটির শীর্ষ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে দলীয় তহবিলের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু করে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন আন্দোলনকালে ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। সদ্য সাবেক কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ ওই সময়ে কারাগারে থাকায় বর্তমান কমিটির শীর্ষ কয়েকজন ওই অর্থ লোপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ নিয়ে ওই সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।সহসভাপতি আবদুল হান্নান মিয়া বিবাহিত। তিনি কাঁচপুর এলাকায় ঝুট ব্যবসা করেন। বিদায়ী সভাপতির আশীর্বাদপুষ্ট হান্নান নারায়ণগঞ্জ এলাকায় আঞ্চলিক রাজনীতি করতেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক আকরামকে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকেন বলে জানা গেছে। সহসভাপতি নিহার হোসেন ফারুক ১৫ বছর ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও প্রতিবার ছাত্রদলে পদ পেয়ে আসছেন। বিবাহিত ফারুক গত কমিটিতে আইন সম্পাদক ছিলেন। যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান সোহাগও চাকরিজীবী।
আরও যারা বিবাহিত : সহসভাপতি ফয়সাল আহমেদ, মাসুদ খান পারভেজ, মামুন বিল্লাহ, আবদুল ওয়াহাব, ইসতিয়াক নাসির, আবদুল হান্নান মিয়া, খলিলুর রহমান খলিল, সাফায়াত হোসেন রিপন, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জাকির হোসেন খান, জাকির হোসেন মিন্টু, জয়দেব জয়, ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, আনোয়ারুল করিম মিলন ও মনিরা আক্তার রিক্তা; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, আবদুল করিম সরকার ওরফে তেহারী করিম, শাহ নাসির উদ্দীন রুম্মন; সহসাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক ও ইসমাইল হোসেন খান এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম শফিকুল ইসলাম বিবাহিত।
বাদ পড়েছেন যারা : বিদায়ী কমিটির অনেকে বাদ পড়েছেন। এ কারণে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অন্যদিকে সিনিয়রদের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন, তারা দাবি জানাচ্ছেন, অতিদ্রুত তাদের বিএনপির অন্য কোনো সংগঠনে পুনর্বাসিত করার। বয়সের সীমার মধ্যে থাকলেও বাদপড়াদের মধ্যে রয়েছেন গত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক নাসির, মশিউর রহমান মিশু, ফেরদৌস আহম্মেদ মুন্না, তরিকুল ইসলাম টিটু, মনিরুল ইসলাম সোহাগ, এম কামরুজ্জামান, নুরুজ্জামান মুকিত লিংকন, মশিউর রহমান মিশু, সামসুজ্জোহা সুমন, নাজমুল হাসান অভি, রাশেদুল আহসান রাশেদ, শাহ আলম চৌধুরী ও সঈদ উদ্দিন আহমেদ সুমন; বিদায়ী কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, সম্পাদক হাসানুজ্জামান, সহসম্পাদক আদনান আলম বাবু ও আশরাফুজ্জামান রনি এবং সদস্য মোশাররফ হোসেন মশু, হাসান আলী মামুন নাহিদ, ফুয়াদ আহমেদ, মোখলেসুর রহমান, নজিবুল ইসলাম, আবু ফয়সাল জিহাদ, শামসুজ্জোহা সুমন, মোমিনুল ইসলাম মোমিন।খালেদা জিয়াকে নতুন কমিটির শুভেচ্ছা :নতুন কমিটির নেতারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বুধবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় হয়।