ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০১৪, ৯:১০ পূর্বাহ্ণ
পূর্বদিক ডেস্ক ::
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ বন্ধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সাধারণ সভা শেষে উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু ওই বছর এইচএসসিতে উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবে। পুরাতনরা পারবে না।
এ সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাওয়ায় একদিকে যেমন প্রথমবার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়, অপরদিকে পুরাতন শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারগুলোর সহযোগিতা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতি করার চেষ্টা করে।”
এছাড়া দ্বিতীয় দফায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া বন্ধ হলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই সব পরীক্ষা নেওয়া যাবে বলে মনে করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। “ফলে জালিয়াতি থাকবে না। পাশাপাশি দ্বিতীয়বার এই ভর্তি চক্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনও নষ্ট হবে না,” বলেন উপাচার্য আরেফিন।
এতোদিন এইচএসসি উত্তীর্ণরা টানা দুইবার ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ইংরেজি বিভাগে ভর্তির শর্ত শিথিল করা হয়েছে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইংরেজিতে ভর্তির জন্য ‘ইলেকটিভ ইংলিশ’ এ ১৫ নম্বর পাওয়ার শর্ত শিথিল করে ন্যূনতম পাশ নম্বর ৮ করা হয়েছে এবং ‘সাধারণ ইংরেজিতে’ ২০ থেকে কমিয়ে ১৮ নম্বর করা হয়েছে।
এরপরেও ‘খ’ ইউনিটের মাধ্যমে আসন পূরণ করা না গেলে বিভাগ পরিবর্তনের ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে একই শর্তে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এবার ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় ‘সাধারণ ইংরেজিতে’ ৩০ নম্বরের মধ্যে ২০ এবং ‘ইলেকটিভ ইংলিশে’ ১৫ পাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল।
তবে ‘খ’ ইউনিট থেকে ‘ইলেকটিভ ইংলিশ’-এ মাত্র দুইজন পরীক্ষার্থী পাস করায় (ন্যূনতম ১৫ পাওয়ায়) ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ইংরেজিতে ভর্তির শর্ত শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্যনুযায়ী, এবার ইংরেজি বিভাগে প্রথম বর্ষে ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, যাদের ১২৫ জনই কলা অনুষদের অধীন ‘খ’ ইউনিট থেকে আসার কথা। বাকী ২৫ জনকে নেয়ার কথা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন ‘ঘ’ ইউনিট থেকে।