রাশিয়া, কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে বর্ণবাদ, বিতর্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০১৪, ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক ::
ব্রাজিলে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর ভালোয়-ভালোয় শেষ হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিচ্ছে আগামী দুটি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ দু’টিকে নিয়ে। রাশিয়ায় বর্ণবাদ ও কাতারে প্রতিযোগিতার তারিখ বদলানো নিয়ে চলছে বিতর্ক।
২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসার কথা। এদিকে ইউক্রেন সংকটের জের ধরে রাশিয়া আন্তর্জাতিক আঙিনায় বেশ একঘরে হয়ে পড়েছে। ততদিনে রাজনৈতিক সংকট কেটে গেলেও সে দেশের ফুটবল জগতের একটি বড় সমস্যা দূর হবে কিনা তা বলা কঠিন। রাশিয়ায় বর্ণ-বৈষম্যের মাত্রা নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন ফিফা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট জেফ্রি ওয়েব। সম্প্রতি ফ্যানদের আচরণের কারণে সিএসকেএ মস্কো ক্লাব-কে আগামী তিনটি উয়েফা ম্যাচ খেলতে হবে খালি স্টেডিয়ামে। ওয়েব নিজে ফিফার অ্যান্টি রেসিজম টাস্ক ফোর্সের প্রধান। তাঁর মতে, এক্ষেত্রে রাশিয়ার সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে। শিক্ষার মাধ্যমেই বর্ণবাদের এই বিষ দূর করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। উপর থেকে বোঝাতে হবে, ‘ডাইভারসিটি’ বা বৈচিত্র্য এবং সমাজের মূল স্রোতে বাইরের লোকের সমন্বয় ভালো জিনিস।
এদিকে কাতারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে বিভ্রান্তি কাটার কোনো দেখা যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতার দিনক্ষণ গ্রীষ্ম থেকে শীতকালে পিছিয়ে দিলে ইউরোপীয় ক্লাবগুলি ক্ষতিপূরণ দাবি করতে চাইছে। কাতার বলছে, সে দেশ বছরের যে কোনো সময়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে প্রস্তুত। তবে গ্রীষ্মে প্রবল গরমের কারণে ফিফা ও আয়োজক কমিটি শীতকালে খেলার বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে।
কিন্তু ইউরোপের প্রায় ২০০ ফুটবল ক্লাবের সংগঠন এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের মতামতের গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে। বিভিন্ন দেশে ফুটবল লিগে যে সব তারকা খেলোয়াড়রা খেলেন, শীতকালে বিশ্বকাপ হলে তাঁদের নিজস্ব জাতীয় দলগুলির হয়ে খেলতে হবে। ক্লাবগুলি এই ধাক্কা সামলাতে প্রস্তুত নয়। ইউরোপীয় ক্লাব সংগঠন ইসিএ-র প্রধান বায়ার্ন মিউনিখ ক্লাবের কার্লহাইনৎস রুমেনিগে এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত দু’টি বিশ্বকাপে প্রায় ৭৬ শতাংশ খেলোয়াড় কোনো না কোনো ইউরোপীয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।